রোববার, ১২ মে ২০২৪, ২৯ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এমন মৃত্যু আর কত

চট্টগ্রামে অসহায় স্বজনদের আহাজারি

রফিকুল ইসলাম সেলিম | প্রকাশের সময় : ১২ জুন, ২০২০, ১২:০১ এএম

পাঁচটি হাসপাতালে ছুটোছুটির পর একটিতে ভর্তির সুযোগ পেলেও আইসিইউ সাপোর্ট না পেয়ে মারা গেছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি কামাল উদ্দিন। তিনটি হাসপাতাল ঘুরে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়ার পরেই মারা যান নগরীর খুলশী এলাকার বাসিন্দা জসিম উদ্দিন চৌধুরী। নালা পাড়ার প্রীতি বিকাশ দত্তকে অ্যাম্বুলেন্স এ নিয়ে তিনটি হাসপাতালে গেছেন তার ছেলেরা। কোন হাসপাতালে তার ঠাঁই হয়নি। অ্যাম্বুলেন্সে বাবার লাশ নিয়ে বাসায় ফিরেছেন তারা।

গতকাল বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে এমন এ তিনজনসহ চার জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে যাদের কেউ চিকিৎসা পাননি। আগের দিন ফাতেমা আক্তার মুক্তাসহ মারা গেছেন আরো ছয়জন। অসহায় স্বজনদের সামনেই তাদের মৃত্যু হয়েছে। ১০ মাসের অন্তঃসত্তা মুক্তাকে আইসিইউ সাপোর্ট দিতে ডাক্তারদের পায়ে ধরেন স্বামী তৌহিদুল আনোয়ার। মুক্তার দুই শিশু সন্তান এখন মা হারা। সোমবার হাসপাতালে ছুটতে ছুটতেই গাড়িতে প্রাণ যায় আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা শফিউল আলম ছগিরের।

এমন মৃত্যুর তালিকায় আছেন চট্টগ্রামের বড় দুই দলের অনেক নেতা থেকে শুরু করে ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, শিল্পপতিও। করোনা উপসর্গসহ নানা রোগে প্রতিদিনই মানুষ মরছে বিনা চিকিৎসায়। সরকারি হাসপাতালে শয্যা নেই। বেসরকারি হাসপাতালে শয্যা থাকলেও তালা। কোনো কোনো হাসপাতাল রোগী ভর্তি নিলেও মিলছে না অক্সিজেন, আইসিইউ সাপোর্ট। এতে মৃত্যুর মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে। চোখের সামনে বিনা চিকিৎসায় স্বজন হারানোর বেদনায় কাতর-অসহায় মানুষের প্রশ্ন এমন মৃত্যু আর কত?

চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনায় ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। উপসর্গ নিয়ে এবং বিনা চিকিৎসায় দিনে কত জন মারা যাচ্ছেন তার হিসাব কারো কাছে নেই। প্রতিদিনই মানুষ মরছে। কিছু খবর মিডিয়ায় আসছে। অনেক মৃত্যুর খবর তাদের স্বজনরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করছেন। বলছেন চিকিৎসা না পাওয়ার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার কথা। অসহায় আহাজারি এসব পরিবারে।

করোনা সংক্রমণের আগেই এখানে চিকিৎসা ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়ে। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা থাকলেও বেসরকারি বেশির ভাগ হাসপাতালে এখনও চিকিৎসা মিলছে না। প্রশাসনের হুমকি ধমকিতেও তারা দরজা খুলছে না। করোনা চিকিৎসা তো দূরের কথা অন্য রোগী ভর্তিও নিচ্ছে না অনেক হাসপাতাল। অথচ ২০টি হাসপাতালের অর্ধেক ৮২৫টি শয্যা খালি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (8)
Habib Ahmed ১২ জুন, ২০২০, ১:৩৯ এএম says : 0
করোনা ছাড়া অন্য রুগী কে হাসপাালগুলোতে নিয়ে যাবার সময় সাথে করে লাঠি ও 5/6 জন করে নিয়ে যাবেন কোনোরকম টালবাহানা করলে মাইর এর উপর রাখবেন এ ছাড়া আপাতত কোনো উপায় নাই
Total Reply(0)
Alim Reza ১২ জুন, ২০২০, ১:৩৯ এএম says : 0
এটাই বাস্তব,এই সরকার কয়েকজন মন্ত্রি রেখেছেন শুধু মিথ্যা বলে মানুষকে ধোকা দিতে
Total Reply(0)
Mohammed Solaiman Badshah ১২ জুন, ২০২০, ১:৩৯ এএম says : 0
বিভিন্ন মেডিকেল এবং , মালিকদের ঘরে ঘরে করোনা রোগী পাঠান, বলেন তাদের হাত পা ধরে রিকোয়েস্ট করতে তাহলে রাজি হবে উনারা। রিকোয়েস্ট করে ফিরে আসার সময় বলবে we are corona positive. ব্যস, খেলা ফাইনাল। এটাই এই মুহুর্তে দরকার। আর্মি, র‍্যব, পুলিশ কিছু লাগবে না।
Total Reply(0)
Habib Akanda ১২ জুন, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
কথা শুনবেন না,লকডাউন না মেনে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবেন, এখন ঘুরতে থাকেন কেমন লাগে ঘুরতে দেখেন।ভাই এটা বাংলাদেশ এক সঙ্গে এত লোকের চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষমতা এ দেশের নেই।বিনা চিকিৎসায় মরতে হবে,এ গুলো তারই আলামত।
Total Reply(0)
Mohammad Majharul Islam ১২ জুন, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
চিকিৎসা পেতে হাসপাতালের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে মানুষ সেবা বঞ্চিত হয়ে ধুঁকে ধুঁকে মৃত্যুবরণ করছেন অনেকে. sokarer nojor deya uchit.
Total Reply(0)
M S Sumon ১২ জুন, ২০২০, ১:৪০ এএম says : 0
একটা দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থা এতটা নাজেহাল হতে পারে এটা ভাবতেই অবাক লাগে
Total Reply(0)
Md Rayhan ১২ জুন, ২০২০, ১:৪১ এএম says : 0
এগুলো আমাদের মন্ত্রীদের চোখে পড়েনা। দেশ না-কি চিকিৎসা দিক অনেক ভাল। বাংলাদেশের চিকিৎসা শুধু নামেই কাজের কাজ কিছই না।আবার না-কি ডিজিটাল বাংলাদেশ। বাংলাদেশ হলো চোরের দেশ। চোরের দিক থেকে আমাদের দেশ অনেক এগিয়ে গেছে।
Total Reply(0)
Mohammed Kowaj Ali khan ১২ জুন, ২০২০, ৫:৩১ এএম says : 0
এখনও মানুষ মহা অন্দকারে। হাসপাতালে চুটাচ্চুটি না করে আল্লাহ তা'আলাকে ঢাকুন। সুস্থ হইয়া যাইবেন। ইনশাআল্লাহ।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন