স্টাফ রিপোর্টার : রাজধানীর শাহবাগে কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বাস চাপায় দুই স্কুল ছাত্রী নিহত হবার ঘটনায় হত্যার অভিযোগ এনে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে। পুলিশের দায়ের করা মিতু হত্যার আসামি বাস চালক গ্রেফতার হয়েছে। তবে শনিবার সকালে নিহত সোনালীকে চাপা দেয়া বাস চালককে গতকাল পর্যন্ত গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘাতক ওই বাসের চালক গ্রেফতারসহ সড়ক দুর্ঘটনা রোধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে গতকাল মানববন্ধন করেছে নিহত স্কুল ছাত্রী সোনালীর পরিবার ও শুভাকাক্সিক্ষরা।
অন্যদিকে গ্রেফতার ঘাতক চালকদের ড্রাইভিং লাইন্সেন্স, গাড়ির মালিকানা সম্পর্কে জানতে চেয়ে বিআরটি’এর কাছে চিঠি দিয়েছে পুলিশ। একই সাথে সংশ্লিষ্ট বাসের ফিটনেস সার্টিফিকেট ছিলো কিনা সে বিষয়েও বিআরটির কাছে জানতে চাওয়া হয়। শনিবার বিকেলে শাহবাগ এলাকায় বাস চাপায় স্কুল ছাত্রী খাদিজা আক্তার নিহতের ঘটনায় পুলিশের এসআই মাহফুজুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন শাবাগ থানায়। ওই মামলায় চালক মোঃ শাহিনকে একমাত্র আসামী করা হয়। যদিও ঘটনার পর পরই স্থানীয় জনতার সহযোগিতায় পুলিশ চালক শাহিনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালিয়ে ওই স্কুল ছাত্রীকে হত্যা করেছে বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার ধারা ২৭৯ এবং ৩০৪(খ) অনুযায়ী চালকের বিরুদ্ধে পর্যাপ্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ নেয়া হয়েছে। দ্রুত এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হবে।
শাহবাগ থানার ওসি(তদন্ত) জাফর আলী জানান, বেপরোয়া গতিতে বাস চালিয়ে হত্যার অভিযোগ এনে সোনালীর বাবা জাকির হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা করেছেন। হত্যাকারী ঘাতক বাস চালককে ধরতে অভিযান চলছে। পাশাপাশি বাসের মালিকানাসহ দুর্ঘটনার মূল কারণ তদন্ত চলছে।
শনিবার বিকালে শাহবাগ মোড়ে বাসের নিচে চাপা পড়েন পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী খাদিজা সুলতানা মিতু। পরীক্ষা শেষে কুমিল্লা থেকে ঢাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন মিতু। শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শিশুপার্ক থেকে বের হয়ে শাহবাগ মোড়ে রাস্তা পারাপারকালে ৭ নম্বর রুটের বাস বেপরোয়া গতিতে এসে মিতুকে চাপা দিয়ে হত্যা করে।
এর আগে সকালে মৎস ভবন মোড়ে জেএসসিতে গোল্ডেন এ প্লাস পাওয়া সোনালীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। সেগুন বাগিচা বেগম রহিমা স্কুল থেকে জেএসজি পাসের পর সোনালীর তেজগাঁও সরকারি গার্লস স্কুলে ৯ম শ্রেণিতে ভর্তির কথা ছিল। স্কুলে ভর্তির সুযোগ পাওয়ার আনন্দে উদ্বেলিত সোনালী শনিবার সকালে হাইকোর্টেও সামনের গণপূর্ত অধিদফতর কলোনির বাসা থেকে নতুন স্কুলে ভর্তির উদ্দেশে বের হয়। বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সামনে রাস্তাটি পার হওয়ার সময়ই ৮ নম্বর রুটের বেপরোয়া একটি বাস তাকে চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই মারা যায় সে। সোনালীর মৃত্যুর খবরে সেগুনবাগিচার রহিমা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহপাঠীরা মৎস ভবনের সামনের রাস্তা অবরোধ করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন