সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির নেবে ভারত

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ জুন, ২০২০, ৭:৩২ পিএম

ভারতে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এর মধ্যে শীর্ষে রয়েছে দেশটির মহারাষ্ট্র রাজ্য। তাই নাগরিকদের জীবন বাঁচাতে মরিয়া হয়ে উঠেছে রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী উদ্ভব ঠাকরের সরকার। এরই অংশ হিসেবে করোনারোগীদের চিকিৎসায় তারা রেমডেসিভিরের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করতে চায়।

কিন্তু গিলিয়াড সায়েন্সেস তাদের এই ওষুধটি ভারতে উৎপাদন কিংবা মার্কেটিং (বাজারজাত) করছে না। ফলে সমস্যায় পড়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। এ অবস্থায় বাংলাদেশ থেকে তারা রেমডেসিভির ওষুধ কিনতে চায়।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই এর সহায়ক চিকিৎসায় অনেকটা কার্যকর হিসেবে আলোচনায় উঠে এসেছে মার্কিন কোম্পানি গিলিয়াড সায়েন্সেস উদ্ভাবিত রেমডেসিভির ওষুধের নাম। আলোচনায় আসার পর থেকেই বাংলাদেশি কোম্পানিগুলো এর উৎপাদন শুরু করে দেয়। এমনকি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও করোনারোগীদের চিকিৎসায় জরুরি প্রয়োজনে এর ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

মহারাষ্ট্র সরকার প্রাথমিকভাবে ৩ হাজার বোতল রেমসিভির সংগ্রহ করতে চায়। আর চূড়ান্তভাবে তারা ১০ হাজার বোতল রেমডেসিভির ওষুধ কিনবে। এসব ওষুধ রাজ্যের অন্তত ১৮টি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে করোনারোগীদের চিকিৎসায় প্রয়োগ করা হবে।

রাজ্য সরকার এরই মধ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের ওষুধ বিভাগ এবং (ডিসিজিআই) এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে ছাড়পত্র (ক্লিয়ারেন্স) চেয়ে আবেদন করেছে। কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে।

মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্যমন্ত্রী রাজেশ তোপ গত সপ্তাহে বলেন, তারা ১০ হাজার বোতল রেমডেসিভির ওষুধ কিনবেন। তিনি বলেন, ল্যাব ও প্রাণীর দেহে পরীক্ষামূলক প্রয়োগে দেখা গেছে, ওষুধটি মার্স-কভ ও সার্স ভাইরাসের, যেখান থেকে করোনাভাইরাসের উৎপত্তি, বিরুদ্ধে ভালো কাজ করছে। আর এমন ফলাফল দেখার পরই ওষুধটি কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

রাজ্যের আরেক মন্ত্রী জিতেন্দ্র আহওয়াদ ওষুধটি কেনার জন্য ছাড়পত্র দিতে কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমি শুরু থেকেই বার বার ডিসিজিআই ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে রেমডেসিভির কেনার অনুমতি দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। কিন্তু তারা বিষয়টি নিয়ে গড়িমসি করছে, অথচ লোকজন মারা যাচ্ছে। সূত্র: এসএএম।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন