ঠাকুরগাঁওয়ে চুরির অপবাদে দুই শিশুকে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ তার সাত সহযোগীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গত শুক্রবার রাতে পীরগঞ্জ থানায় মামলাটি দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার শিশু সুমনের মা শরিফা খাতুন। মামলায় সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম এবং মোতালেব আলীসহ আরও ৭ জনকে আসামি করা হয়।
মামলার বিবরণে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে মোতালেব আলী প্রতিবেশী গৃহবধূ শরিফা খাতুনকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল। এতে সাড়া না দেয়ায় চুরির অপবাদ দিয়ে গত ২২ মে স্থানীয় ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ আরো ৭ জন মিলে গৃহবধূর ছেলে শিশু সুমন (১৩) ও তার ভাতিজা কমিরুল ইসলাম (১৬) কে আটক করে। এরপর তারা এক সালিশের আয়োজন করে।
সালিশে হাত-পা বেঁধে ওই দুই শিশুকে মারপিট করে ইউপি সদস্যসহ তার সহযোগীরা। মারপিটের সেই চিত্র ক্যামেরায় ধারণ করে। পরে ভিডিও চিত্র শরিফা খাতুনকে দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দিলে ইউপি সদস্য ও তার সহযোগীরা মিলে শরিফা খাতুনকেও মারপিট ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। পরে গৃহবধূর বাড়ি থেকে একটি গরু নিয়ে যায় তারা।
এ ঘটনায় সাথে অভিযুক্তদের অতিদ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামের মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ঘটনায় এখনো কাউকে গ্রেফতার না করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয়রা। তবে পীরগঞ্জ থানার ওসি বলেন, মামলাটি আমরা তদন্ত করছি এবং আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন