ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে মোবাইল চুরির অপবাদ নিয়ে দুই শিশুকে নির্যাতন করার মামলায় প্রধান আসামি ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলামকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাণীশংকৈলের গাজিরহাট এলাকা থেকে গতকাল রোববার ভোরে র্যাব তাকে গ্রেফতার করে। এর আগে জিয়াবুল নামের একজনকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
তবে মোতালেবসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে র্যাব ও ডিবি পুলিশ। মামলার প্রায় ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও তদন্তে অগ্রগতি না হওয়ায় পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে মামলাটি গত শনিবার ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরবর্তীতে র্যাবকে দায়িত্ব দেয়া হয়। ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে নির্যাতিতদের সাথে দেখা করেছেন ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।
গতকাল রোববার দুপুরে র্যাব-১৩, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১, দিনাজপুরের একটি আভিযানিক দলের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট মামুন জহিরুলকে আটকের কথা জানিয়েছেন।
র্যাব অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, র্যাব-১৩, ক্রাইম প্রিভেনশন কোম্পানি-১, দিনাজপুরের আভিযানিক দল গভীর রাতে ঠাকুরগাঁও জেলার রানীশংকৈ থানাধীন গাজীর হাট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর মামলার শিশু নির্যাতনকারী প্রধান আসামি মো. জহিরুল ইসলাম গুড (৪৮) কে আটক করে। আটক জহিরুল পীরগঞ্জ উপজেলার দেওধা গ্রামের সোহরাব আলীর ছেলে। জিজ্ঞাসাবাদে আসামি শিশু নির্যাতনের সাথে সংশ্লিষ্টতার কথা র্যাবের নিকট প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেন। ডিবি পুলিশ গত শনিবার সন্ধ্যায় পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁও ইউনিয়নের দেওধা গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে অভিযুক্ত জিয়াবুলকে। জিয়াবুল ইসলাম (৫৬) দেওধা গ্রামের মেহেরাব আলীর ছেলে।
ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, অন্যদেরও গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, গত শনিবার ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ড. কে এম কামরুজ্জামন সেলিম পীরগঞ্জ উপজেলার সেনগাঁওয়ে মোবাইল চুরির ঘটনা নিয়ে নির্যাতনের শিকার সুমন ও কামরুলের বাড়িতে যান এবং ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
গত শুক্রবার রাতে পীরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন নির্যাতনের শিকার শিশুর মা সরিফা খাতুন। মামলায় সেনগাঁও ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম, মোতালেব আলীসহ ৭ জনকে আসামি করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন