বুধবার, ০১ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

কল্যাণপুরের আশপাশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছিল বন্ধ

প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার
কল্যাণপুরে পুলিশের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ নয় জঙ্গি নিহত হওয়ার পর ঘটনাস্থল ও আশপাশের ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়। ঘটনাস্থল ‘তাজ মঞ্জিল’ এর পাশেই কল্যাণপুর গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ফলে ঘটনার আঁচ বেশি লেগেছে এ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ শাহনাজ বেগম জানান, প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা, দশম শ্রেণির প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষা এবং সকাল ৮টা থেকে কলেজের নির্ধারিত ক্লাস স্থগিত করা হয়। আমাদের অনেক স্টুডেন্ট গোলাগুলির শব্দে রাত থেকেই ‘প্যানিকড’। এছাড়া স্কুলে আসার সড়কটিও পুলিশ বন্ধ করে দিয়েছে। একারণে এসএমএসের মাধ্যমে স্কুল বন্ধের কথা অভিভাবকদের জানিয়ে দিয়েছি।
দুপুরে ৬ নম্বর সড়কের ৯ নম্বর বাড়িতে কল্যাণপুর ল্যাবরেটরি হাইস্কুলও বন্ধ দেখা গেছে। আতঙ্কের কারণেই স্কুলটি বন্ধ রেখেছেন বলে টেলিফোনে জানিয়েছেন প্রধান শিক্ষক জিএম জাহাঙ্গীর কবীর রানা।
বাংলাদেশ কিন্ডার গার্টেন অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব জাহাঙ্গীর জানান, কল্যাণপুর ও আশপাশের দক্ষিণ কল্যাণপুর, পাইকপাড়া, নতুনবাজার ও ঝিলপাড় এলাকায় ২৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এরমধ্যে উচ্চ মাধ্যমিক স্কুল একটি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ দুটি, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় দুটি এবং ২২টি কিন্ডারগার্টেন।
গোলাগুলির পর সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে সাহস করেননি শহীদ মিনার সড়কের ১১/২ নম্বর বাড়ির মালিক আবু তাহের। তিনি বলেন, আমার দুই বাচ্চার একজন ওয়ানে, আরেকজন সেভেনে পড়ে। সকালে টেলিভিশনে ঘটনা দেখে তারা ভয় পেয়েছে। আমার বয়সেই এরকম ঘটনা প্রথম দেখলাম। তাদের স্কুলে পাঠানোর সাহস করি কেমনে?”
অনেক অভিভাবক টেলিফোন করেও স্কুল বন্ধ রাখার অনুরোধ করেছেন বলে দক্ষিণ পাইকপাড়ার খান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মো. জসিম উদ্দিন খান জানান।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন