শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

করোনায় নয়াদিল্লিতে হিন্দুদের লাশ পোড়ায় মুসলিম যুবক চাঁদ মুহাম্মদ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২২ জুন, ২০২০, ৮:৫০ পিএম

করোনা মহামারিতে ক্ষুধা থেকে বাঁচতে নয়াদিল্লিতে হিন্দুদের লাশ পোড়ানোর কাজ নিয়েছে এক মুসলিম যুবক। সে এখন তাদের রীতিমত ভরসা হয়ে উঠেছে ।নাম চাঁদ মুহাম্মদ, সে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।
তার ইচ্ছে ডাক্তার হবার। কিন্তু কোভিড-১৯ ও লকডাউন তাকে নিয়ে গেছে অন্য পথে। শেষকৃত্য করার জন্য এখন মানুষের অভাব। তাই হিন্দুদের লাশ পোড়াতে এখন ভরসা হয়ে উঠেছে চাঁদ মুহাম্মদ। ভাইদের স্কুল ফিস ও মায়ের চিকিৎসার খরচ জোগাতে কোভিড-১৯’এ মৃতদের দেহ দাহ করার কাজ নিয়েছে চাঁদ মুহাম্মাদ। অ্যাম্বুলেন্সে লাশ ওঠানো থেকে শুরু করে শ্মশানে নিয়ে যাওয়া ও স্ট্রেচারে করে আগুনের চুল্লিতে পৌঁছে দেওয়া, সব কাজই তাকে করতে হয়। নিশ্বাস নিতে কষ্ট হয়। তবু দাহের কাজ করে সে।
চাঁদ মুহাম্মদের মায়ের থাইরয়েড ডিজঅর্ডার। দ্রুত চিকিৎসা দরকার। কিন্তু পরিবারের কাছে অর্থ নেই। চাঁদের বড়ভাই লকডাউনে কাজ হারিয়েছেন। প্রতিবেশীদের সাহায্য ও চাঁদের ভাইয়ের সামান্য পার্ট টাইম ইনকাম দিয়েই জীবনধারণ করছে উত্তর-পূর্ব দিল্লির সিলমপুরের এই পরিবারটি । এক সপ্তাহ আগে চাঁদ একটি কোম্পানিতে যোগ দেয়। তারা তাকে লোকনায়ক জয়প্রকাশ নারায়ণ হাসপাতালে ঝাড়ুদারের কাজে নিযুক্ত করে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দেহ তাকে নাড়াচাড়া করতে হত। কাজ চলত দুপুর ১২টা থেকে রাত ৮টা।

তিনি জানান, আমার কোনও উপায় না থাকায় আমি কাজটা নিতে বাধ্য হই। এটি খুব বিপজ্জনক কাজ ছিল। কোভিড - ১৯’এ আক্রান্ত হবার হাই রিস্ক ছিল। কিন্তু আমার খুব দরকার ছিল একটা কাজের। বাড়িতে তিন বোন, দুই ভাই, বাবা-মা। মায়ের চিকিৎসার খরচ। সবমিলিয়ে না নিয়ে উপায় ছিল না। চাঁদ মুহাম্মদের জীবন কাটছে দুঃখের সাগরে। এখন প্রতিবেশীদের সাহায্যে হয়তো কোনও রকমে কেটে যাচ্ছে। কিন্তু কোনও সহৃদয় ব্যক্তি বা সংগঠনের বড় সাহায্য না পেলে তার ডাক্তার হবার স্বপ্ন অধরা থেকে যাবে।

চাঁদ মুহাম্মদ জানায় , বহুদিন আমাদের বাড়িতে একবেলা খাবার রান্না হয়। আমরা হয়তো ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকব। কিন্তু ক্ষুধাকে হয়তো পরাজিত করতে পারব না। চাঁদ এখনও স্কুল ফিজ দিতে পারেনি। পড়ার জন্য ওর পয়সা চায় , এমনটাই জানাল। কাজে যাবার আগে নামায পড়ে বের হয় মুহাম্মদ। সর্বশক্তিমানের উপর বিশ্বাস রেখেছে সে। একদিন নিশ্চয়ই সৌভাগ্যের দেখা মিলবে। ঘুঁচে যাবে তাদের দুঃখ। সূত্র : পুবের কলম

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
Mohammed Kowaj Ali khan ২৩ জুন, ২০২০, ২:৫৩ এএম says : 0
লাশ পুরায় অসভ্য।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন