ডিসি সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন
বিশেষ সংবাদদাতা : জনগণকে সঙ্গে নিয়ে প্রত্যেক জেলায় জঙ্গি ও সন্ত্রাসবিরোধী দুর্গ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। তিনি বলেন, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। সরকার সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ কঠোরভাবে দমন করছে। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে গতকাল বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বেরিয়ে তোফায়েল আহমেদ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তোফায়েল আহমেদ বলেন, প্রতিষ্ঠানগুলো প্রতারণার মাধ্যমে মানুষকে যেন হয়রানি করতে না পারে তাই এমএলএম লাইসেন্স প্রদান নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে এখন আর এই ব্যবসার পারমিশন দিই না। যুবক ও ডেসটিনির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ায় এ ধরনের কোম্পানির নামও এখন আর শোনা যায় না। আইন অনুযায়ী যারা লাইসেন্স পেয়েছে তারা সীমিত আকারে কার্যক্রম চালাচ্ছে। আগের মতো পত্রপত্রিকায় খবর ও মানুষের কাছে এমএলএম কোম্পানির প্রতারণার কথাও শোনা যায় না।
বিষয়টি জেলা প্রশাসকদের অবগত করার কারণ জানতে চাইলে তোফায়েল আহমেদ বলেন, অনেক সময় লোকালি এ ধরনের এমএলএম কোম্পানি করে জনগণের সাথে প্রতারণা ও হয়রানি করা হয়। হয়রানি যাতে না হয় সেজন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ৫০ বিলিয়ন ডলার রফতানির টার্গেট পূরণ করতে আমরা একটা স্লোগান তুলেছিলাম ‘এক জেলায় এক পণ্য’। তারই আলোকে পাটজাত থেকে শুরু করে অপ্রচলিত রফতানি পণ্য চিহ্নিত করতে প্রতিটি জেলাকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতেও বলা হয়েছে। ভেজালমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণে দেশের ৪৮১ উপজেলায় কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তোফায়েল আহমেদ বলেন, পত্রপত্রিকায় উঠেছে ব্যবসায়ীরা চলে যাচ্ছে। আমাদের পণ্য ক্রয়কারীরা আসছে না। এগুলো সঠিক নয়। এমনিতেই বিদেশিরা জুলাই-আগস্ট মাসে অবকাশ যাপন করে। এ সময় বিদেশিরা কম আসে। তার মধ্যে আমরা যেসব পদক্ষেপ নিচ্ছি, তাতে মানুষের মাঝে আস্থা ফিরে আসছে। এ পর্যন্ত কোনো বিদেশি কোম্পানীর কাছ থেকে নেগেটিভ কোনো ম্যাসেজ আমরা পাইনি। সকলেই বলছে, আমরা বাংলাদেশ থেকে পণ্য নিচ্ছি। জেলা পর্যয়ের ব্যবসায়ীদের মধ্যে কোনো দুশ্চিন্তা নেই। এ ছাড়া জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু সাংবাদিকদের বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় বিসিকের জমি খালি পড়ে আছে। এগুলো চিহ্নিত করে পরিকল্পিত শিল্পনগরী গড়তে জেলা প্রশাসকদের প্রয়োজনীয় সুপারিশ করতে তিনি আহ্বান জানান।
জঙ্গিবাদ ঠেকাতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নজর রাখতে শিক্ষামন্ত্রীর ডিসিদের নির্দেশ
জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নিজ নিজ এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নজর রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় ডিসিরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সরকারকে সব সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। জেলা প্রশাসক সম্মেলনের (ডিসি সম্মেলন) দ্বিতীয় দিন বুধবার সকালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত কার্য অধিবেশন শেষে শিক্ষামন্ত্রী সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান। শিক্ষাসচিব মো. সোহরাব হোসাইন অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমরা বলেছি এখনকার সময়ে একটা গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে দেশ এখন জঙ্গিবাদের মুখোমুখি। সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, অন্যান্য মন্ত্রণালয় থেকেও নির্দেশনা পাবেন। আমাদের শিক্ষা পরিবারের সরাসরি দেশের এক-তৃতীয়াংশ লোক যুক্ত। আমাদের তরুণ ছেলেমেয়েরা এর ভিকটিম হচ্ছে, তাদেরকে জঙ্গি বানানোর টার্গেট করছে। সেজন্য আমাদের আরও হুঁশিয়ার থাকতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নতুন প্রজন্মকে আমরা দেশের জন্য জ্ঞান, শিক্ষা, প্রযুক্তি দিয়ে সততা, নিষ্ঠা, ন্যায়বোধ ও দেশপ্রেম দিয়ে উদ্বুদ্ধ করে ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। তারা যদি কেউ বিপথগামী হয়ে এই পথে (জঙ্গি) যায়, তাহলে তাদের নিজের জীবনের সর্বনাশ, দেশেরও সর্বনাশ হবে। যার জন্য আমরা ইতোমধ্যে স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসায় যেসব বিষয়ে নির্দেশনা দিয়েছি, সেগুলো ডিসিরা যেন কার্যকরী করেন, এ বিষয়ে তারা যেন নজর রাখেন। ডিসিদের বলেছি, নিজ নিজ এলাকায় যেন সতর্ক থাকেন, নির্দেশনাগুলো কার্যকরী করছেন কিনা তা মনিটরিং করেন। ইতোমধ্যে প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানের প্রধানের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা হচ্ছে জানিয়ে নাহিদ বলেন, আমরা সর্বত্র যাবো, এ ব্যাপারে ডিসিদের সহায়তা চেয়েছি।
ছয় মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচন Ñস্থানীয় সরকারমন্ত্রী
আগামী ছয় মাসের মধ্যে জেলা পরিষদ আইন সংশোধন করে নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকারমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে আলোচনার পর মন্ত্রী এ কথা জানান।
নির্বাচন নিয়ে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে ডিসিদের বলার কিছু নেই। আমরা শিডিউল ঘোষণা করবো নির্বাচনের। নির্বাচন নিয়ে কারও কোনো অসুবিধা নেই।
নির্বাচন নিয়ে সরকারের পরিকল্পনা কী জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, এখনও কিছু আইনের পরিবর্তন দরকার। এটা এই সেশনে (সংসদ অধিবেশন) করতে পারছি না। আইন সংশোধন করে প্রয়োজনে আমরা অর্ডিন্যান্স জারি করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবো।
কবে নাগাদ নির্বাচন করা সম্ভব হবে জানেত চাইলে মন্ত্রী বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে ইনশাল্লাহ নির্বাচন করে দিতে পারবো। এ মন্ত্রণালয়ের পরিধি প্রতিটি গ্রাম, ১৬ কোটি মানুষের সঙ্গে জড়িত। সিটি করপোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদের উন্নয়ন সহায়তা দেয়।
উন্নয়ন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, গ্রামীণ অর্থনীতিতে প্রাণ ফিরেছে, গতি এসেছে। এখন গ্রামীণ চাহিদার মাত্রারও পরিবর্তন হয়েছে। মানুষ রাস্তাঘাট, ব্রিজ-কালভার্ট চায় না, খাম্বা (বিদ্যুতের খুঁটি) চায়।
দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন পরিষদে একজন করে উপসহকারী প্রকৌশলী নিয়োগ দেওয়ার প্রস্তাব করেন ডিসিরা। তবে এখনই নিয়োগ দেওয়া হবে না বলে জানান মন্ত্রী।
আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে ডিসিদের প্রতি কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, মানুষ এ বিষয়ে সচেতন। আরেকটা মজার বিষয় হচ্ছে আমাদের বিরোধীরা বলেন সরকার গুম করছে। তারা নিজেরাই গুম হচ্ছেন এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ রইলো না।
মহাসড়কের পাশে পশুর হাট নয় Ñডিসিদের ওবায়দুল কাদের
ঈদুল আজহার আগে মহাসড়কের পাশে যাতে পশুর হাট না বসে, সে জন্য জেলা প্রশাসকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ঈদের আগে ফিটনেস ছাড়া পশুবাহী গাড়ি রাস্তায় চলাচল করে। এগুলো অনেক ক্ষেত্রে রাস্তায় বিকল হয়ে পড়ে। সে ক্ষেত্রে এ ধরনের গাড়ি যেন যাত্রাই করতে পারে সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসকদের বলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে সম্মেলন থেকে বেরিয়ে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, সরকারের সেতু ও সড়কের কার্যক্রম দৃশ্যমান বাস্তবতা। এগুলোর মধ্যে পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল, ফ্লাইওভার, এলিভেটেড এক্সপেস ওয়েসহ বড় প্রকল্পগুলোর দৃশ্যমান অগ্রগতির কথা মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যোগাযোগব্যবস্থায় গতি আনতে সরকার চার লেন সড়ক করলেও এসব রাস্তার ওপর বা আশপাশের জমি দখল করা হচ্ছে। এই জমি দখলমুক্ত করতে তিনি ডিসিদের নির্দেশ দেন।
এদিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলন থেকে বেরিয়ে রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, দেশে ২ হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার রেলপথ রয়েছে। যেসব জেলার ওপর দিয়ে রেলপথ গেছে, সেখানে জেলা প্রশাসকেরা সব ধরনের সহায়তা করে থাকেন। সরকারের পক্ষে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তা হিসেবে রেলের জায়গা দেখভালসহ বিভিন্ন কাজে জেলা প্রশাসকেরা আরও নজরদারি করবেন।
ভূমিসংক্রান্ত ভোগান্তি কমাতে ডিসিদের নির্দেশ
ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা কমিয়ে জনগণের ভোগান্তি লাঘবে জেলা প্রশাসকদের আন্তরিক পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। গতকাল বুধবার জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০১৬ এর ২য় দিনের প্রথম অধিবেশন শেষে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমিসংক্রান্ত জটিলতা কমাতে সরকার আন্তরিক। এ কারণেই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ভূমি ডিজিটাইলেজশনের কাজ চলছে। তবে এটা আবেগ বা বক্তৃতার বিষয় নয়। বাস্তবতার নিরিখে কাজ করা কঠিন। অস্ট্রেলিয়ার এ কাজ করতে ২০ বছর লেগেছে, ভারত এখনও ২০ ভাগ শেষ করতে পারেনি। আমরা দ্রুত এ কাজ শেষ করার লক্ষ্যে কাজ করছি। এখানে প্রযুক্তিজ্ঞান ব্যবহার, প্রযুক্তি যন্ত্রপাতি সংগ্রহের ব্যাপার আছে। তবে আমরা দ্রুতই এ কাজ শেষ করবো।
মন্ত্রী আরও বলেন, ভূমিসংক্রান্ত ভোগান্তি সম্পর্কে আপনারাও জানেন, আমিও জানি। পর্চা এবং খতিয়ান পেতে সাধারণ জনগণকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। জনগণের এসব ভোগান্তি কমাতে জেলা প্রশাসকরা আন্তরিক রয়েছেন। তারপরও এ বিষয়ে তাদের আরো যতœবান হতে বলেছি।
ভূমিমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে ভূমি খাতে যতো অনিয়ম রয়েছে তা আগের সরকারগুলোর। বিভিন্ন সামরিক ও গণতান্ত্রিক সরকারের জমানো অনিয়ম জমে এখন কিছু প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। আমরা জেলা প্রশাসকদের এ প্রতিবন্ধকতা দূর করার নির্দেশ দিয়েছি।
ডিসিদের দুর্যোগকবলিত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর নির্দেশ মন্ত্রীর
জেলা প্রশাসকদের দুর্যোগকবলিত এলাকায় মানুষের কাছে দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর নির্দেশ দিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া।
গতকাল বুধবার বিকেলে সচিবালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘ডিসি সম্মেলন ২০১৬’-এর দ্বিতীয় দিনে জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ নির্দেশ দেন। মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী এ কথা জানান।
মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেন, জেলা প্রশাকদের জানানো হয়েছে ১৩ থেকে ১৮টি জেলায় দুর্যোগ কবলিতদের উদ্ধারের জন্য নৌযান ও মিনি ট্রাক দেওয়া হবে। মূলত উদ্ধার ও দুর্যোগ কবলিত এলাকায় দ্রুত ত্রাণ পৌঁছানোর জন্য এই যানবহন দেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ৯টি জেলা বন্যা কবলিত। ৯টি জেলায় ১০ হাজার মেট্রিক টন চাল ও সাড়ে ৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৯টি জেলায় ৪ হাজার টন চাল পৌঁছে গেছে।
ত্রাণমন্ত্রী বলেন, বন্যার পানি যদি আরও বাড়ে তাহলে বন্যা কবলিত এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হবে। যতদিন পর্যন্ত পানি না কমবে, ততদিন পর্যন্ত আশ্রয় কেন্দ্রে তাদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করবে সরকার। তারা যতদিন চাইবে ততদিন এখানে থাকতে পারবে।
বরাদ্দকৃত চাল এবং টাকা যত দ্রুত সম্ভব বন্যা কবলিত মানুষদের মাঝে বিতরণ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়ে মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী বলেন, টাকা ও চাল লাগলে আরও দেওয়া হবে, কোনো অভাব নেই।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন