স্টাফ রিপোর্টার : বিশিষ্ট শিশু মনস্তÍত্ত্ববিদ ও অটিজম বিষয়ক বাংলাদেশ জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির সভাপতি সায়েমা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল বলেছেন, যোগাযোগ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যোগাযোগ বৈকল্য বিষয়ে শিক্ষা ও গবেষণা হওয়া একান্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন, তা না হলে মানুষের মাঝে, সমাজের উন্নতি সৃষ্টি করা যাবে না। যোগাযোগের উন্নতি না হলে সমাজ ও দেশ এগিয়ে যাবে না। গতকাল বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে নব-প্রতিষ্ঠিত যোগাযোগ বৈকল্য (কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস) বিভাগের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। সকালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কের বঙ্গবন্ধু ভবন মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সভাপতিত্ব করেন।
সায়েমা ওয়াজেদ বলেন, ব্যক্তি মানুষের এ সমস্যা পরিবার ও সমাজকে প্রভাবিত করে তাই এ বিভাগের গুরুত্ব অপরিসীম। তিনি এ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। যেমন- তোতলানো বুদ্ধি-প্রতিবন্ধিতা নয়। মানুষের ভুল বোঝার জন্যে এ ধরনের ধারণা তৈরি হয়।
প্রধানমন্ত্রী কন্যা বলেন, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রে সচেতনতা সৃষ্টি করতে পারেন। সমাজের মানবিক ও মানসিক অগ্রগতির সূচনার জন্য তাই এ বিভাগের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যোগাযোগের মাধ্যমে মানুষ নিজেকে প্রকাশ করে উল্লেখ করে তিনি উন্নত সমাজ ও দেশের জন্য কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং সবাইকে অভিনন্দন জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিভাগের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
ভিসি ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক প্রধান অতিথিকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশ স্বাধীন না করলে শিক্ষা ব্যবস্থা উন্নত হতো না, বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন বিভাগও চালু হতো না।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নতুন বিভাগ খোলার ক্ষেত্রে আগ্রহ প্রকাশ ও উৎসাহ দিয়েছেন উল্লেখ করে ভিসি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মানসিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রীক চিকিৎসা ও শিক্ষার উপর প্রত্যক্ষভাবে গুরুত্ব দিয়ে থাকে। মনোবিজ্ঞান, চিকিৎসা মনোবিজ্ঞান ছাড়াও শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং সমাজকল্যাণ ইনস্টিটিউটে এ ধরনের বিশেষায়িত শিক্ষার ব্যবস্থা রয়েছে।
ভিসি বলেন, মানসিক সমস্যা সমাধানে শারীরিক শিক্ষার পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ স্বাস্থ্যের গুরুত্ব বিবেচনা করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে প্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই যোগাযোগ বৈকল্য বিভাগ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ভিসি বলেন, হতাশার মাঝেও আশার আলো দেখতে হবে। কিছু লোক আজ বিপথগামী হয়েছে। সন্তানদের সন্ত্রাসের কবল থেকে রক্ষা করতে হলে যোগাযোগ স্বাস্থ্যের সঙ্গে সঙ্গে সামাজিক স্বাস্থ্যের জন্যও কাজ করতে হবে। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় শিক্ষার মাধ্যমে আলোকিত সামাজিক জীবন গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
বিভাগীয় চেয়ারম্যান অধ্যাপক হাকিম আরিফের স্বাগত বক্তব্যের পর শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে প্রফেশনাল মাস্টার্সের ছাত্র সৈয়দ মাহবুব হালিম ও প্রথম বর্ষ অনার্সের ছাত্রী হুমায়রা আনজুম বক্তব্য দেন। আরও বক্তব্য রাখেন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন ও লোক প্রশাসন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আখতার হোসেন।