চট্টগ্রাম ব্যুরো : বন্দর নগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলে গতকাল (বুধবার) সকালে পুনরায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে এ ভূকম্পনে কোথাও হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বাংলাদেশ সময় সকাল ১০টা ২০ মিনিট ৩০ সেকেন্ডে এ ভূমিকম্পটির সূত্রপাত ঘটে। স্থায়ী হয় স্থানভেদে ৪ থেকে ৭ সেকেন্ড পর্যন্ত। কর্মব্যস্ত সকালবেলায় অনেকেই এ ভূমিকম্প টের পেয়েছেন। ভূকম্পনের সময় বাড়ি-ঘর, আসবাবপত্র কয়েক সেকেন্ড দুলে ওঠে। এ সময় লোকজনকে দোয়া-দরুদ পাঠ করতে শোনা যায়। ভূমিকম্পটির উৎস মিয়ানমারে হওয়ায় এবং তা বৃহত্তর চট্টগ্রাম থেকে দূরত্ব কম থাকায় এ অঞ্চলে ভূকম্পন অনুভূত হয়। ঢাকা ও আশপাশে এর কম্পন ছিল তুলনামূলক কম।
সর্বশেষ এ ভূকম্পনের উৎপত্তিস্থল (ইপি সেন্টার) ছিল মিয়ানমারের পুকক্কো নামক জায়গায়। যা ঢাকা আগারগাঁও আবহাওয়া দপ্তরের ভূকম্পন পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র থেকে ৫০৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে (২১.৬০ ডিগ্রি অক্ষাংশ ও ৯৪.৭০ ডিগ্রি দ্রাঘিমাংশ)। এ ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল রিখটার স্কেলে ৪ দশমিক ৯ পয়েন্ট, অর্থাৎ হালকা।
এদিকে বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী উত্তর-পূর্ব ভারত, মিয়ানমার অঞ্চলে মাঝারি, হালকা ও মৃদু মাত্রায় ঘন ঘন ভূমিকম্প অনুভূত হচ্ছে। এ অঞ্চলটি সক্রিয় ভূকম্পন বলয়ে অবস্থিত। ভূমিকম্পের একাধিক ফাটল রেখা (ফল্ট লাইন) বাংলাদেশের উপর দিয়ে অতিক্রম করে গেছে। অতীতে এ অঞ্চলে শক্তিশালী এমনকি প্রলয়ঙ্করী মাত্রায় ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছিল। ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘন ঘন মাঝারি, হালকা বা মৃদু ধরনের ভূকম্পন অদূর ভবিষ্যতে এ অঞ্চলে বড় আকারের ভূমিকম্পের আশঙ্কাকে দিক-নির্দেশ করে। ভূমিকম্পের সম্ভাব্য দুর্যোগ প্রস্তুতি ও সতর্কতার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক পেছনে রয়ে গেছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন