পুলিশের নির্যাতনে দুই কিডনি নষ্ট হওয়ার ঘটনায় কলেজছাত্র ইমরান হোসেনের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। যশোর সিভিল সার্জন ও পুলিশ সুপারকে এ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। আগামী ২৮ জুনের মধ্যে প্রতিবেদনটি দাখিল করতে হবে। ঘটনা তদন্তে পুলিশ তিন সদস্যের যে কমিটি গঠন করেছে একই সময়ে ওই রিপোর্টও দাখিল করতে বলা হয়েছে।
গতকাল এ সংক্রান্ত রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি জেবিএম হাসানের ভার্চুয়াল বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। সরকারপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ^াস। রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, যশোরের পুলিশ সুপার, যশোরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, পুলিশের মহাপরিদর্শক, যশোর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং যশোরের সিভিল সার্জনকে বিবাদী করা হয়। এর আগে গত ১৮ জুন ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির পল্লব এবং ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ রিট করেন।
রিটে বলা হয়, গত ৮ জুন যশোর সদর উপজেলার শাহবাজপুর গ্রামের নেছার আলীর ছেলে ইমরান হোসেনকে সাজিয়ালি পুলিশ ফাঁড়ির অফিসারের নির্মম প্রহারের কারণে তার দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে মর্মে ৯ জুন সংবাদ প্রকাশিত হয়। ইমরান বর্তমানে যশোরের কুইন্স হসপিটালে চিকিৎসাধীন। যা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক এবং ইমরানের মৌলিক অধিকারের লঙ্ঘন। রিটে ইমরানের ওপর নির্মম প্রহারের ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত, তার জন্য ক্ষতিপূরণ এবং তার যাবতীয় চিকিৎসা ব্যয় ভার বিবাদীদের বহনের নির্দেশনা চাওয়া হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন