বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

একসময়ের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবে রূপলাভ করেছে- জয়

প্রকাশের সময় : ২৮ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, মানুষকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য অবশ্যই স্বপ্ন দেখতে হবে। যদি স্বপ্ন ও স্বপ্নজয়ের আকাক্সক্ষা থাকে তবেই সব স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব। ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নের বাস্তবায়নের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, আমার সবচেয়ে বড় স্টার্ট আপ হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ একসময় স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন এখন বাস্তবে রূপ নিয়েছে। গতকাল (বুধবার) জনতা টাওয়ারে স্থাপিত দেশের ইতিহাসে প্রথম ‘আইটি ইনকিউবেটর’-এর জন্য রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন।
জয় বলেন, ‘সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে ডিজিটাল ইনকিউবেটরে সাপোর্ট সেন্টার ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে আরেকটি মাইলফলক। এভাবেই ধীরে ধীরে ডিজিটাল বাংলাদেশ সবার কাছে সুপরিচিত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি ২০ বছর আগে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালিতে স্টার্ট আপ শুরু করেছিলাম। আমি সফল হয়েছিলাম। আমার বিশ্বাস, আজ যে ১০টি স্টার্ট আপ আইটি ইনকিউবেটরে জায়গা বরাদ্দ পেল তারাও সফল হবে।’ অনুষ্ঠানে কানেক্টিং স্টার্ট আপ বিজয়ী ১০টি সেরা উদ্যোগ ঘোষণা করা হয়। এসব উদ্যোক্তার হাতে কারওয়ান বাজারের জনতা টাওয়ারে অবস্থিত আইটি ইনকিউবেটরের চাবি তুলে দেয়া হয়। বিজয়ীদের উদ্ভাবনী কাজে সরকারের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে। তাদের জন্য জনতা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে বাংলালিংকের সহযোগিতায় ডিজিটাল ইনকিউবেটরের সাপোর্ট সেন্টারে এক বছরের জন্য বিনা মূল্যে জায়গা বরাদ্দ পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। তাদের আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে উদ্যোগটি যাতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভূমিকা রাখতে পারে তার ব্যবস্থা করা হবে। জয় বলেন, বাংলাদেশে স্টার্টআপের অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। আজকের সেরা দশ স্টার্টআপ বিজয়ীই তার প্রমাণ। এই বিজয়ীরা তাদের নতুন নতুন উদ্ভাবন দিয়ে দেশের আইসিটি শিল্পকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। তারা বিশ্বের আইসিটি শিল্পের সাথে বাংলাদেশের আইসিটি শিল্পকে পরিচয় করিয়ে দেবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন সংস্থার মহাপরিচালক হাউলিন ঝাও। বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, বিটিআরসির চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ, ঢাকা দক্ষিণের মেয়র আনিসুল হক, ভিম্পলকমের চেয়ারম্যান এমিরেটাস ও কো-ফাউন্ডার অগি কে. ফাবেলা, বাংলালিংক-এর সিইও এরিক ওস, আইসিটি ডিভিশন, বেসিস, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটি, বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি এবং বিএসিসিও’র প্রতিনিধিরা।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন