স্টাফ রিপোর্টার : জঙ্গিদের উসকানি দিতে বিএনপি নেতারা বক্তব্য দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। ‘কল্যাণপুরে নিহতরা জঙ্গি না সাধারণ মানুষ তা নিয়ে সন্দেহ আছে’ বিএনপি নেতা ব্রি.জে (অব.) আ স ম হান্নান শাহর এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের এক বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন।
১৪ দলের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আশ্চর্য ব্যাপার, বিস্ময়ের ব্যাপার। তার মানে আবার নতুন করে প্রমাণ হয়েছে এরাই জঙ্গির মদদদাতা। এরা জঙ্গির প্রশ্রয়দাতা। চিহ্নিত জঙ্গি খতম করার পরে বিএনপির এক নেতা বলেন; জঙ্গি কী না বিচার করতে দেখতে হবে। জঙ্গিদের উৎসাহিত করার জন্য, জঙ্গিদের উসকানি দেয়ার জন্যে এ ধরনের কথা তারা (বিএনপি নেতারা) বলছেন।
তিনি বলেন, কোথায় চলে গেছে এরা (বিএনপি নেতারা)। এদের (বিএনপি নেতাদের) চেহারাটা প্রকাশ হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন, প্রতি মুহূর্তে উন্মোচিত হচ্ছে। বেগম জিয়ার ঐক্যের ডাক ভাওতাবাজি ছাড়া কিছু না। জনগণ ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে, দেশ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে শেখ হাসিনার ডাকে তখন তার ঐক্যর ডাক টোটালি স্ট্যান্ডবাজি। নিজের চামড়া বাচানোর জন্য ঐক্যের কথা বলছেন। এটা ভাওতাবাজি, ভ-ামি ছাড়া কিছুই না।
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকা-ের বিরুদ্ধে গণজাগরণ সৃষ্টি হয়েছে জানিয়ে নাসিম বলেন, আমরা বিশ্বাস করি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ মোকাবেলা সম্ভব। গতকাল কল্যাণপুরে সফল অভিযান পরিচালনা করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাই। অভিনন্দন জানাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের।
সংবাদ সম্মেলনে জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। কর্মসূচির মধ্যে আগামী ৩০ জুলাই মাগুড়ায় ও ১১ জুলাই দিনাজপুরে প্রতিরোধ সমাবেশ, ৩১ জুলাই ঢাকা মহানগর ১৪ দলের উদ্যোগে মহানগর নাট্যমঞ্চে প্রতিরোধ সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়।
শোকের মাস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের শরীক দলগুলো পৃথক পৃথক কর্মসূচি পালন করবে বলে জানানো হয়। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ১৩ আগস্ট যৌথভাবে শোক সভার আয়োজন করবে ১৪ দল। এ ছাড়া ১৫ আগস্ট প্রথম প্রহরে রাজধানীর ধানমন্ডি ৩২ নম্বর সড়কে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন কেন্দ্রীয় ১৪ দলের নেতারা।
এর আগে সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টি জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (একাংশ) সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, তরিকত ফেডারেশন মহাসচিব এমএ আউয়াল, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ (একাংশ) সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় সদস্য এসএম কামাল হোসেন প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন