শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

৪৩ জেলায় করোনা পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ২৪ জুন, ২০২০, ১০:৫৮ এএম

প্রাণঘাতি করোনার প্রকোপ বাড়লেও নমুনা পরীক্ষার সুযোগ বাড়েনি। দেশের ৬৪ জেলার মধ্যে ৪৩টিতেই করোনা পরীক্ষাকেন্দ্র নেই। অন্যদিকে প্রায়ই টেস্টে ভুল ফল আসছে। মিলছেনা সংক্রমণের সঠিক চিত্র। আবার নমুনা জমা না দিয়েও অনেকে মোবাইলে বার্তা পাচ্ছেন ‘আপনার করোনা পজিটিভ’। সবমিলিয়ে এক জগাখিচুড়ি অবস্থা।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ঢাকাসহ দেশের ২১টি জেলায় করোনা শনাক্তকরণের পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলার মধ্যে ৫ জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা জেলায় ৩২টি এবং নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে দুটি করে কেন্দ্র রয়েছে।কিশোরগঞ্জ ও ফরিদপুরে একটি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ জেলার মধ্যে চট্টগ্রাম জেলায় রয়েছে পাঁচটিসহ নোয়াখালী, কুমিল্লা ও কক্সবাজারে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে।

এছাড়া খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে খুলনা, যশোর ও কুষ্টিয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। সিলেট বিভাগের দুটি পরীক্ষাকেন্দ্রই সিলেট জেলায় অবস্থিত। রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে রংপুর ও দিনাজপুরে পরীক্ষাকেন্দ্র আছে। রাজশাহী বিভাগের রাজশাহী ও বগুড়ায় দুটি করে এবং সিরাজগঞ্জে একটি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। ময়মনসিংহ বিভাগে ময়মনসিংহ ও জামালপুরে পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। বরিশাল বিভাগের ছয় জেলার জন্য মাত্র একটি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে, শের-ইবাংলা মেডিকেল কলেজে।
যেসব জেলায় পরীক্ষার ব্যবস্থা নেই সেখান থেকে সংগৃহীত নমুনা পরীক্ষার জন্য কাছের জেলায়, কিছু ক্ষেত্রে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। এতে পরীক্ষাকেন্দ্রগুলোতে চাপ বাড়ছে, তৈরি হচ্ছে নমুনাজট। অন্যদিকে পরীক্ষার ফল জানতে সময়ও বেশি লাগছে। অনেক ক্ষেত্রে সংগৃহীত নমুনা সঠিক পদ্ধতিতে পরিবহন না করায় তা অকার্যকর বা বাতিলও হচ্ছে।

বর্তমানে দেশের ৬২টি কেন্দ্রে কোভিড-১৯ শনাক্তকরণের পরীক্ষা হচ্ছে। এর মধ্যে ঢাকায় ৩২টি এবং ঢাকার বাইরে ৩০টি। এর বাইরে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকসহ কিছু প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নমুনা পরীক্ষা করা যায়। গত দেড় মাসে ঢাকায় নতুন যুক্ত হওয়া ১৫টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৪টিই বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার। বেসরকারিভাবে পরীক্ষা করাতে সরকার নির্ধারিত খরচ সাড়ে তিন হাজার টাকা। এতে সরকারি কেন্দ্রগুলোতে পরীক্ষার চাপ বাড়ছে।

গত ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারের রোগতত্ত¡, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণাপ্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর) দেশে করোনাভাইরাস শনাক্তের পরীক্ষা শুরু করে। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। শুরু থেকেই দেশে করোনা শনাক্তের পরীক্ষা কম হওয়া নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নমুনা পরীক্ষা কম হওয়ায় সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র উঠে আসছে না। এই সময় পরীক্ষা যত বেশি হবে, আক্রান্ত ব্যক্তিও তত বেশি শনাক্ত হবে। এতে একদিকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া সহজ হবে, অন্যদিকে সংক্রমণ ঠেকানো সম্ভব হবে।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন