বিএনপির শর্তে মনে হবে তারাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মদদদাতা
স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে সারা দেশের মসজিদগুলোতে খুতবাহ নির্ধারণ করে দেয়া হয়নি জানিয়ে জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কোরআন ও হাদিসসমূহের উক্তিগুলো নিয়ে একটা ছোট পুস্তিকা দেয়া হয়েছে।
সংসদ সদস্য নজিবুল বশর মাইজভান্ডারির এক সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে একটি খুতবাহ তৈরী করে দেয়া হয়েছে- তা কিন্তু না। এখানে আমাদের কোরআন শরীফে বিভিন্ন সুরায় জঙ্গি এবং সন্ত্রাস ও খুন-খারাবির বিরুদ্ধে যে সমস্ত উদ্ধৃতি রয়েছে সেগুলো, নবী করিম (সা.) বিভিন্ন ধর্ম সম্পর্কে যে সমস্ত কথা বলেছেন, এই যে খুন-হত্যা জঙ্গিবাদ এর বিরুদ্ধে তিনি যে কথা বলেছেন। তিনি মানবতার পক্ষে কথা বলেছেন, ইসলাম যে শান্তির ধর্ম হিসেবে যে সমস্ত উক্তি সেগুলো বিভিন্ন হাদিস-কালামে যে সমস্ত উক্তি রয়েছে শান্তির পক্ষে এবং জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সে সমস্ত উক্তিগুলো দিয়ে একটা ছোট পুস্তিকা করা হয়েছে। এটার সংক্ষিপ্ত একটা লিফলেটও বের করা হয়েছে এবং সেটাই মসজিদে মসজিদে দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, খুতবাহর বিভিন্ন স্তর আছে। অন্তত পক্ষে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যে উক্তিগুলো রয়েছে সেগুলো পাঠ করা হয়। মসজিদ ঈমাম সাহেবরা যখন বয়ান দেন বা আমাদের ধর্মীয় গুরুরা যখন কথা বলেন- তাদের কিন্তু একটা জনমত সৃষ্টি করার সুযোগ আছে। তারা যেন জনমত সৃষ্টি করতে পারে তার জন্যই দেয়া হয়েছে।
কল্যাণপুরের ঘটনায় বিএনপির বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপির শর্তে সাধারণ মানুষের কাছে মনে হবে তারাই সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মদদদাতা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিএনপির যেসব বক্তব্য আসছে তাতে খুব স্বাভাবিকভাবেই মনে হয় তারা (বিএনপি) একটা শর্ত দিচ্ছেন। এটা করেন তা না হলে সন্ত্রাস বন্ধ হবে না, জঙ্গিবাদ বন্ধ হবে না। সাধারণ মানুষের কাছে মনে হবে তারাই (বিএনপি) সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদের মদদদাতা। শুধুমাত্র তাদের (বিএনপি) শর্তটা মানলেই জঙ্গিবাদ বন্ধ হয়ে যাবে। তাদের কথা বার্তায় এটাই প্রতীয়মান হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপির জন্ম হয়েছিলো হত্যা-ক্যু আর ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর। মার্শাল ল’ অর্ডিনেন্স করে জামায়াতের মতো একটি দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয় তারা।
ডা. দিপু মনির এক সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেছেন, অগ্নি-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করে আমরা দেশের পরিস্থিতি কিছুটা সামলে নিয়েছিলাম। কিন্তু ১ জুলাইয়ে গুলশান হামলার ঘটনা দেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট করেছে। এটা ঠিক যে, সারা বিশ্বব্যাপী এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। যারা এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে দেখা যাচ্ছে, পবিত্র শান্তির ধর্ম ইসলামের নাম ব্যবহার করে হামলা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ইসলামকে একটা সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে পরিচিত করানোর মাধ্যমে হেয় করা হচ্ছে। এসব জঙ্গিদের মদতদাতা, অর্থদাতা এবং প্রশিক্ষণদাতা কারা, তাদের মাথায় এ ধরণের উদ্ভট চিন্তা কারা যোগাচ্ছে বা তাদেরকে উৎসাহিত করছে। সেটাই হচ্ছে দুশ্চিন্তার বিষয়। এদর খুঁজে বের করতে হবে। জঙ্গিবাদে উৎসাহদাতাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, একটি রাজনৈতিক দল, যে রাজনৈতিক দলটির জন্ম হয়েছিলো হত্যা-ক্যু ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর। মার্শাল ল’ অর্ডিনেন্স করে জামায়াতের মতো একটি দলকে রাজনীতি করার সুযোগ করে দেয়। যে নামেই যে আসুক না কেন যখন খোঁজ নেয়া হয় এরা কোন জায়গায় পড়েছে, কোন কলেজে পড়েছে, কোন দল করেছে তখনই কিন্তু জানা যায় এরা কোন দল করেছে। এদেরকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
শেখ হাসিনা বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাসী কর্মকা- বৈশ্বিক সমস্যা। অগ্নি-সন্ত্রাস নিয়ন্ত্রণ করে আমরা দেশের পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রেখেছিলাম। ১ জুলাইয়ের ঘটনা দেশের ভাবমর্যাদা নষ্ট করেছে। এটাও ঠিক সারা বিশ্বব্যাপী এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। যারা এই ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে দেখা যাচ্ছে, ইসলাম পবিত্র শান্তির ধর্ম, ইসলামের নাম ব্যবহার করে হামলা করা হচ্ছে। অর্থাৎ ইসলামকে একটা সন্ত্রাসী ধর্ম হিসেবে পরিচিত করানোর মাধ্যমে হেয় করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, কারা তাদের মদদদাতা, অর্থদাতা এবং প্রশিক্ষণদাতা। কারা তাদের মাথায় এ ধরনের উৎভট চিন্তা যোগাচ্ছে বা তাদেরকে উৎসাহিত করছে। সেটাই হচ্ছে দুশ্চিন্তার বিষয়।
স্বতন্ত্র সদস্য মো. রুস্তম আলী ফরাজীর প্রশ্নের জবাবে সংসদ নেতা বলেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে লেখাপড়া প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছিল। বছরের পর বছর সেশন জট থাকতো, সময় মতো ছাত্র-ছাত্রীরা পরীক্ষা দিতে পারতো না। চাকরির বয়স পার হয়ে যেতো। ওই সময় থেকে সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ২৫ বছর ছিল। এরপর ২৬ করা হয়। সেখান থেকে ৪ বছর বাড়িয়ে ৩০ বছর করা হয়েছে। এরপরও যদি কেউ চাকরি না পায় তাহলে এটি দুঃখজনক। এখন সেশন জট নেই, ২২-২৩ বছরের মধ্যে মাস্টার্স শেষ হয়ে যায়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু এখন সেশন জট নেই। চার বছর বাড়ানো হয়েছে... আর কত বাড়াতে হবে? তাহলে কী তারা পৌঢ় বয়সে গিয়ে চাকরি নেবে? ২২/২৩ বছরে যে মেধা ও কর্মক্ষমতা থাকে তা আস্তে আস্তে কমতে থাকে। আর তাছাড়া যারা পারে তারা সব সময়ই পারে। যারা পারে না তারা কোনো সময়ই পারে না। কথায় তো আছে- যারা ৯ বছরে পারে না তারা ৯০ বছর বয়সেও পারে না।
বিনিয়োগ বাড়িয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে জোর প্রধানমন্ত্রীর
সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগ বাড়ানোর মধ্য দিয়ে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেইসঙ্গে স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি। গতকাল বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) গভর্নিং বোর্ডের চতুর্থ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়লে শিল্পোন্নয়ন হবে বলে জানান। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইএন) এবং বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার (বিসিআইএম-ইকোনমিক করিডোর) জোটের কথা তুলে ধরে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন,‘কানেকটিভিটি বাড়লে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও সম্প্রসারণ হবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নই তার সরকারের মূল লক্ষ্য। সকল অঞ্চলের উন্নয়ন করতে হবে। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে ‘সমন্বিত উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য’ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার উদ্যোগ নিয়েছে।
আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ দেশের সার্বিক রপ্তানি ৪০ বিলিয়ন ইউএস ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে সরকার দেশে একশ’ অর্থনৈতিক অঞ্চল, বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া এবং সুবিধাবঞ্চিত এলাকাগুলোতে এই অঞ্চল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রায় এক কোটি লোকের নতুন করে কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হবে। বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী বৈঠকে তার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে অগ্রগতির তথ্য সভায় উপস্থাপন করেন।
অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদসহ সংশ্লিষ্ট সচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
বেজা কতৃর্পক্ষ জানায়, এ পর্যন্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার জন্য ৫৯টি এলাকাকে নির্বাচন করা হয়েছে এবং আরও ২২টি এলাকাকে প্রাথমিকভাবে পছন্দ করা হয়েছে, এগুলো চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য অপেক্ষমান রয়েছে। তাছাড়া, প্রধানমন্ত্রী ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল উদ্বোধন করেছেন। যেগুলোতে শিল্প স্থাপনের কাজ শুরু হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী যে অর্থনৈতিক অঞ্চলের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তারমধ্যে পিপিপি’র মাধ্যমে শিল্প স্থাপিত হচ্ছেÑ চট্টগ্রামে মিরেরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল, মৌলবাজারের শিহট্ট, বাগেরহাটের মংলা এবং কক্সবাজারের সাবরং টুরিস্ট পার্ক অঞ্চলে।
এছাড়া ব্যক্তিখাতে ছেড়ে দেয়া অন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলো হচ্ছেÑ নরসিংদীর পলাশ অর্থনৈতিক অঞ্চল, নারায়ণগঞ্জ-সোনারগাঁওয়ের বদ্দারবাজার, গাজীপুরের কোনাবাড়ি, নারায়ণগঞ্জ মেঘনাঘাট, সোনারগাঁও ছোট সিলমান্দি এবং মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় স্থাপিত অর্থনৈতিক অঞ্চল।
জঙ্গিদের জন্য বিএনপি’র এতো দরদ কেন?
কল্যাণপুরে জঙ্গি নিহত হওয়ার ঘটনায় বিএনপি নেতাদের দেওয়া বক্তব্যের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এদের (বিএনপি নেতাদের) সঙ্গে জঙ্গিদের কোন গোপন সূত্র আছে কী না, কোন ষড়যন্ত্রে এরা লিপ্ত কী না সেটাই দেখতে হবে। তিনি বলেন, আমার প্রশ্ন বিএনপি নেতাদের এই আহাজারিটা কেন? এই জঙ্গিদের জন্য এত তাদের দরদটা কিসের? তাদের মনে এই সন্দেহ কেন জঙ্গি কী না? কারণ এদের লাশও পড়ে আছে। গুলশানে তারা যেভাবে ব্যাগ, তাদের জিন্সের প্যান্ট আর কালো আলখাল্লা মাথায় একি ধরনের চাদর বাঁধানো।
গতকাল বুধবার রাতে জাতীয় সংসদের একাদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারপরও তাদের মনে সন্দেহ বিষয়টা কি? এটা একটা সন্দেহের ব্যাপার। তাহলে তাদের (বিএনপি নেতাদের) কোথায় ঘা লাগলো? কোথায় ব্যথা পেলেন তারা? তাহলে তাদের উদ্দেশ্যটা কি ? এই জঙ্গিদের সাথে তাদের যোগসূত্রতা কোথায়? এই প্রশ্নটা আমি জাতির কাছে রেখে গেলাম তারাই এটা খুঁজে দেখবেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জঙ্গি দমনে যখন চেষ্টা করছি সেখানে তারা (বিএনপি) যদি এই ধরনের প্রশ্ন তোলে পুলিশের কার্যক্রমকে যদি জনগণের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায় এরচেয়ে দুঃখজনক আর কিছু না। আমাদের পুলিশ বাহিনী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সারা রাত কষ্ট করে এই জঙ্গিদের মোকাবেলা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতা শাহ্ মোয়াজ্জেম হোসেন ও ব্রি. জে. (অব.) হান্নান শাহ দুজনেরই বক্তব্য নিহতরা জঙ্গি কী না সন্দেহ। গুলশানের ঘটনার সাথে তারা কল্যাণপুরের ঘটনার তুলনা করে। কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ এই দুই ঘটনা তুলনা করতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এক জায়গায় জঙ্গি ঢুকে মানুষ হত্যা করেছে এবং মানুষদের হত্যা করেছে। সেখানে জঙ্গিদের হাত থেকে মানুষদের উদ্ধার করা এবং জঙ্গিদের হত্যা করা অপারেশনটা ভিন্ন ছিলো। আমাদের জঙ্গি দমনে ভিন্ন পথ নিতে হয়েছে। আর এখানে (কল্যাণপুর) জঙ্গিদের একটা আস্তানা পাওয়া গেছে। তারা কিন্তু বুঝে গেছে পুলিশ ঘেরাও করে ফেলেছে এবং তারা পুলিশকে গুলিও করেছে। একজন পুলিশ আহত হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন