স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই দ্বিবার্ষিক শূরার অধিবেশনে পুনরায় আমীর হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
গতকাল ২ দিনব্যাপী শূরার অধিবেশনে তিনি পুনরায় আমীর নির্বাচিত হন। এসময় কেন্দ্রীয় মজলিশে আমেলার (কার্যনির্বাহী পরিষদ) ৪১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটিও পুনর্গঠিত হয়। অধিবেশনে ৫ জন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১১ জন প্রেসিডিয়াম সদস্যের নাম ঘোষণা করা হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার পুরানা পল্টনস্থ আইএবি মিলনায়তনে ২ দিনব্যাপী আয়োজিত শূরার অধিবেশনে সমাপনী বক্তব্য রাখেন পীর সাহেব চরমোনাই। শূরা অধিবেশেনে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, মুফতী সৈয়দ ফয়জুল করীম, নায়েবে আমীর মাওলানা আবদুল হক আজাদ, আল্লামা নুরুল হুদা ফয়েজী, ডা. মুখতার হোসাইন, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, হাফেজ মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, আমীরের রাজনৈতিক উপদেষ্টা অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, শরীয়াহ উপদেষ্টা মুফতী ওমর ফারুক সন্দ্বিপী। অধিবেশনে আগামী সেশনের (২০১৬-১৮) কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন পীর সাহেব চরমোনাই। এসময় দেশ ও ইসলামের করুণ অবস্থার কথা উল্লেখ করে তিনি নবনির্বাচিত দায়িত্বশীলদের দক্ষতা ও খুলুসিয়াতের সাথে দায়িত্ব পালনের মাধ্যমে জাতির ভাগ্যের পরিবর্তনে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। শূরা অধিবেশনে ইসলামী যুব আন্দোলন গঠন করার নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ শেষে কেএম আতিকুর রহমানকে আহ্বায়ক ও মোহাম্মদ নেছার উদ্দিনকে সদস্য সচিব করে কেন্দ্রীয় পরিষদ ঘোষণা করা হয়।
পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, ইসলামী আন্দোলন নীতি ও আদর্শের রাজনীতি করে। নীতির প্রশ্নে কোন আপোস নেই, একথা তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন। রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তন করে দেশকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করার জন্য এ সংগঠন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে পীর সাহেব উল্লেখ করেন।
পীর সাহেব চরমোনাই দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থা থেকে বাঁচাতে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, প্রকৃত ইসলামী শিক্ষার অভাবে জঙ্গি কর্মকা-ের সাথে জড়িত হয়ে পড়ছে তরুণ সমাজ।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, ৯২ ভাগ মুসলমানের ঈমান ও আমলের উপর চরম আঘাতকারী বর্তমান শিক্ষানীতি, শিক্ষা আইন ও বিতর্কিত সিলেবাস। এই সিলেবাস বাতিলে প্রয়োজনে শূরা দায়িত্বশীলদের জীবন ও রক্ত দিতে প্রস্তুত থাকতে হবে। বিতর্কিত শিক্ষানীতি, শিক্ষাআইন এবং পাঠ্যসূচির মাধ্যমে বিরানব্বই ভাগ মুসলমানের দেশে মুসলমানিত্ব ধ্বংস করে হিন্দুত্ববাদ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন কোনদিন পূরণ করতে দেবে না মুসলমানরা। তিনি নাস্তিক্য ও হিন্দুত্ববাদী সিলেবাস বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত রাখার জন্য শূরা দায়িত্বশীলদের প্রতি আহ্বান জানান।
কেন্দ্রীয় কমিটির নবনির্বাচিত দায়িত্বশীলরা হলেন, আমীর-মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই, নায়েবে আমীর-মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম, হাফেজ মাওলানা আব্দুল আউয়াল (পীর সাহেব খুলনা), মুহাদ্দিছ মাওলানা আব্দুল হক আজাদ, মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ (পুনর্নির্বাচিত), যুগ্ম মহাসচিব- অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, হাফেজ মাওলানা নেয়ামতুল্লাহ আল ফরিদী, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, সহকারী মহাসচিব-মাওলানা আব্দুল কাদের, আলহাজ্ব আমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম আতিকুর রহমান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, সহ প্রচার সম্পাদক মাওলানা নেছার উদ্দিন, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, অর্থ সম্পাদক আলহাজ্ব হারুনুর রশীদসহ আরো ১০টি সম্পাদকসহ ২৪ জন।
পীর সাহেব চরমোনাই নবনির্বাচিত দায়িত্বশীলদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন