রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : দুষ্টুমি ও খেলার ছলেই জোবেদা টেক্সটাইল ও স্পিনিং মিলে ১০ বছরের শিশু শ্রমিক সাগর বর্মণের পায়ুপথ ও মুখে বাতাস ঢুকায় তিন সহকর্মী। তিন সহকর্মীই কিশোর বয়সের। ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিলো আরো একজন।
তবে তারা বাতাস ঢুকায় হত্যার উদ্দেশ্যে নয়। পুরো বিষয়টি ছিল নিছক খেলা ও দুষ্টুমি। বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার ড. খন্দকার মহিদউদ্দিন সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, বুধবার রাতে রাকিব, সোহেল ও আকাশ নামের ৩ কিশোরকে কারখানার ভেতর থেকে আটক করা হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, গত ২৪ জুলাই কারখানার ভেতরে দুপুরে খেলার ছলেই হঠাৎ করে তিন কিশোর মিলে সাগরের মুখে ও পায়ুপথে কম্প্রেসার মেশিনের বাতাস ঢুকিয়ে ফেলে। ওই ঘটনায় আরো একজনকে আটক করা হয়েছে যিনি পুরো ঘটনার সাক্ষী। এর আগে বুধবার মামলার এজাহারভুক্ত আটক ২ আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। দুইজনের মধ্যে আজাহার ইমাম ওরফে সোহেল (৩৮), জোবেদা টেক্সটাইল ও স্পিনিং মিলের সিনিয়র উৎপাদক কর্মকর্তা। এছাড়া সোহাগ হোসেন হৃদয় (৩৫) লাইনম্যান হিসেবে কর্মরত ছিল। সোহেলকে সোমবার রাতে র্যাব-১১ ও হৃদয়কে মঙ্গলবার সকালে রূপগঞ্জ থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে।
উল্লেখ্য গত ২৪ জুলাই রোববার কারখানার ভেতরে ১০ বছরের সাগর বর্মণের পায়ুপথে হাওয়া ঢুকিয়ে হত্যার ঘটনায় নিহতের বাবা রতন বর্মণ বাদী হয়ে ৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ৬ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। সোমবার পুলিশ এজাহারভুক্ত আসামী নাজমুল হুদাকে গ্রেপ্তার করে তাকে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হয়। শুনানি শেষে আদালত ৭ দিনের রিমা- মঞ্জুর করে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন