শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

ইসলামী বিশ্ব

নুসরা ফ্রন্টের নতুন নাম ফাতেহ আল-শাম

প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ৯:৩৯ পিএম, ২৯ জুলাই, ২০১৬

ইনকিলাব ডেস্ক : সশস্ত্র সংগঠন আল-কায়েদা থেকে পৃথক হওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে সিরিয়াভিত্তিক সশস্ত্র সংগঠন জাবাথ আল-নুসরা বা নুসরা ফ্রন্ট। আল-কায়েদা থেকে পৃথক হওয়ার ঘোষণা দেন দলটির অন্যতম নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জুলানি। এক ভিডিও বার্তায় এই ঘোষণা দেন তিনি। এটিই তার প্রথম ধারণ করা ভিডিও বার্তা। ওই ভিডিওতে আল-জুলানি সংগঠনটির নতুন নামকরণের ঘোষণা দেন। এখন থেকে নুসরা ফ্রন্ট পরিচিত হবে ফাতেহ আল-শাম নামে। আল-জুলানি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মতো শক্তিগুলোকে মোকাবিলার জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভিডিও বার্তাটি কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার আরবি চ্যানেলে প্রচার করা হয়। ওই ঘোষণার তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, এমন ঘোষণার কারণে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় সংগঠনটির কোনও পরিবর্তন হবে না। মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর জানিয়েছে, ওই ঘোষণা নুসরা ফ্রন্টের রিব্র্যান্ডিং ছাড়া কিছুই নয়। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র জশ আর্নেস্ট বলেছেন, নুসরা ফ্রন্ট যে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ বা অন্য কোনও দেশে হামলা চালাতে পারে, সে হুমকি সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। ওই ভিডিও বার্তায় আল-কায়েদা নেতা আয়মান আল-জাওয়াহিরির একটি সংক্ষিপ্ত বার্তাও রয়েছেÑ ইসলামের ভ্রাতৃত্ব যেকোনও সাংগঠনিক সম্পর্কের চেয়ে শক্তিশালী আর সাংগঠনিক সম্পর্ক পরিবর্তিত হলেও তা অটুট থাকে। আল-জুলানি তার সংগঠনের অবস্থান বুঝতে পারার জন্য আল-কায়েদা কমান্ডারদের ধন্যবাদও জানিয়েছেন। এর আগে আল-কায়েদা জানিয়েছে, তারা এই পৃথক হওয়ার বিষয়টিকে সমর্থন করে। সংগঠনটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা হাসান আবু আল-খায়ের বলেছেন, তার সংগঠন ইসলাম ও মুসলিমদের পক্ষে এবং সিরিয়ায় তাদের জিহাদ’এর স্বার্থে এগিয়ে যেতে নুসরা ফ্রন্টের নেতৃত্বকে নির্দেশনা দিয়েছে। আল-জুলানি আরও বলেন, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ার মতো আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো আল-নুসরা ফ্রন্টের বিরুদ্ধে বোমা বর্ষণের নামে সিরিয়ার মুসলিমদের ওপর ওই বোমা হামলা চালাচ্ছে, তাদের বাস্তুচ্যুত করছে। এজন্যই এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, নবগঠিত সংগঠনটি বিদেশি কোনও সংগঠনের সঙ্গেই যুক্ত থাকবে না। গত সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি এবং রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ নুসরা ফ্রন্ট এবং কথিত ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর বিরুদ্ধে হামলা চালাতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণে একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন। এর পরপরই নুসরা ফ্রন্ট এই ঘোষণা দিলো। ২০১২ সালে নুসরা ফ্রন্টের নামটি প্রথম সামনে আসে, যখন তারা আলেপ্পো এবং দামেস্কে আত্মঘাতী বোমা হামলার দায় স্বীকার করে। এই সশস্ত্র সংগঠনটির দাবি, তারা সিরিয়ার সরকারি বাহিনী এবং আইএস-এর বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করেছে। ধারণা করা হয়, নুসরা ফ্রন্টের পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার সশস্ত্র সদস্য রয়েছে। জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিল এই সংগঠনটির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। আর যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়া নুসরা ফ্রন্টকে সন্ত্রাসী সংগঠনের তালিকায় যুক্ত করেছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ বন্ধে সিরীয় সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে যে অস্ত্রবিরতি চুক্তি করা হয়, সেখানেও আইএস এবং নুসরা ফ্রন্টকে যুক্ত করা হয়নি। আল-জাজিরা, বিবিসি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
ইমরান ৩০ জুলাই, ২০১৬, ২:৩৬ পিএম says : 0
মধ্য প্রাচ্যে এরা এগুলো কি শুরু করলো ?
Total Reply(0)

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন