মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ০৫ চৈত্র ১৪৩০, ০৮ রমজান ১৪৪৫ হিজরী

লাইফস্টাইল

অনিদ্রা কমানোর খাবার ও পানীয়

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৫ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনা মহামারির নেতিবাচক পরিস্থিতি মানসিক স্বস্তি কেড়ে নিয়ে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে অনেরকেরই। অনেকেই দীর্ঘসময় ধরে অনিদ্রা রোগে আক্রান্ত। অপর্যাপ্ত ঘুম মানুষের শারীরিক এবং মানসিক ভারসাম্যে ব্যাঘাত ঘটাতে পারে এবং বিভিন্ন জটিল রোগের সৃষ্টি করতে পারে। অনেকেই ঘুমের সমস্যার কারণে ক্যাফিনসমৃদ্ধ খাবার, ভাজাপোড়া বা তেলযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলেন। তবে, ভাল ঘুমের জন্য খাওয়া এবং পান করার অর্থ শুধু রাতের বেলা কেবল ক্যাফিনযুক্ত বা ভারী বা অন্ত্রে জ্বালা সৃষ্টিকারী খাবার এড়ানো নয়। ঘুমের জন্য সহায়ক কিছু খাবার এবং পানীয় আসলে আপনাকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে এবং আরও ভাল ঘুমের জন্য সহায়তা করতে পারে।
রাতের বেলা সাদা রুটি, পরিশোধিত পাস্তা এবং চিনিযুক্ত বেকড খাবার শরীরে ঘুমের জন্য সহায়ক সেরোটোনিনের মাত্রা হ্রাস করতে পারে এবং ঘুম কমিয়ে দিতে পারে। তাই সেসবের পরিবর্তে শোবার সময় হালকা নাস্তা হিসেবে বেছে নিন গোটা দানার পপকর্ন, ওটমিল বা বাদামের মাখনযুক্ত আস্ত গমের ক্র্যাকার। সেরোটোনিন মস্তিষ্কের একটি রাসায়নিক পদার্থ এবং অনিদ্রা রোগে ইতিবাচক অবদান রাখে। বাদাম হৃদরোগের জন্য ইতিবাচক চর্বির একটি ভাল উৎস। বিশেষত, কাঠ বাদাম এবং আখরোটে মেলাটোনিন থাকে যা আপনার ঘুম চক্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। ছানার মতো কম চর্বিযুক্ত প্রোটিনভিত্তিক খাবারে ট্রিপটোফান নামক অ্যামিনো অ্যাসিড থাকে, যা সেরোটোনিনের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। ছানাকে মিষ্টি করতে রাস্পবেরিসহ খেতে পারেন, যা মেলাটোনিনের সমৃদ্ধ উৎস।
রাতের ঘুমানোর আগে ক্যামোমাইল, আদা এবং গোলমরিচ দিয়ে বানানো চা আপনার স্নায়ুকে শিথিল করে আপনাকে ঘুমাতে সাহায্য করতে পারে। তবে সবচেয়ে ভালো হ’ল শোবার আগে উষ্ণ দুধ পান করা। দুধে অবস্থিত ট্রিপটোফান এবং মেলাটোনিনের সাথে উন্নত ঘুমের সম্পর্ক রয়েছে এবং শৈশবকালীন ঘুমের সাথে এর মনস্তাত্তি¡ক সংযোগও রযেছে। মেলাটোনিনযুক্ত কিছু ফল আপনাকে দ্রুত ঘুমিয়ে পড়তে এবং রাতে কম মাত্রায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে সহায়তা করে। চেরি ফল এবং এর রসে প্রচুর পরিমাণে মেলাটোনিন থাকে এবং কিউই, কলা, আনারস এবং কমলাও প্রাকৃতিক মেলাটোনিনের ভালো উৎস। যদি আপনি অনিদ্রায় ভোগেন, তবে ঘুমাতে যাবার আগে নিয়মিত দুটি করে কিউই খেয়ে দেখতে পারেন। এতে আপনার ঘুমের সময়কাল এক মাসের মধ্যে এক ঘণ্টা বেড়ে যেতে পারে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ অন্যান্য ফল এবং শাকসব্জী, যেমন, বেরি, প্রুন, কিসমিস এবং প্লামফল নিদ্রাহীনতার কারণে সৃষ্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে এবং ভালো ঘুমের জন্য সহায়ক। সূত্র : স্লিপ ফাউন্ডেশন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন