বৃহস্পতিবার ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

কার্যকারিতা পরীক্ষা হবে আইসিডিডিআরবি’তে

গণস্বাস্থ্যের অ্যান্টিবডি কিট

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

ওষুধ প্রশাসনের সঙ্গে ইতিবাচক বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের ভাইস-প্রিন্সিপাল ও গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জিআর কোভিড-১৯ র‌্যাপিড ডট বøট কিট প্রকল্পের সমন্বয়কারী ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার। তিনি বলেন, অ্যান্টিবডি কিটের বিষয়ে আমাদের ইন্টারনাল ভ্যালিডেশন রিপোর্টকে আমলে এনে নিবন্ধনের অনুরোধ করেছিলাম। ওষুধ প্রশাসন বিদ্যমান সরকারি নিয়মে আবার কন্ট্র্যাক্ট রিসার্চ ফার্মের (সিআরও) মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রশাসনের (এফডিএ) আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে এক্সটারনাল ভ্যালিডেশন করতে বলেছে। আমাদের আবেদিত রিয়েজেন্টের জন্য অনাপত্তি সনদ (এনওসি) দেয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে।

গতকাল বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। কিটের উদ্ভাবক বিজ্ঞানী গবেষক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, ওষুধ প্রশাসনের মহাপরিচালক আমাদের কথা ইতিবাচকভাবে শুনেছেন এবং সর্বাত্মক সহায়তা করতে চেয়েছেন। অ্যান্টিবডি কিট আরেকবার পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে। কিন্তু সেই পরীক্ষা করার সক্ষমতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) নেই। এটি করতে পারবে আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। আগামী দু’এক দিনের মধ্যেই আমরা আইসিডিডিআর,বিতে যাব।

তিনি বলেন, আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করে কিট পরীক্ষা করতে খুব কম সময় লাগবে। ১০০ থেকে ১৫০টি কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষা করলেই ফলাফল পাওয়া যাবে। ৫০টি পজিটিভ স্যাম্পল ও ১০০টি নেগেটিভ স্যাম্পল পরীক্ষা করলেই হবে। এতে সর্বোচ্চ সাত দিন সময় লাগতে পারে এবং অন্যান্য সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সর্বোচ্চ ১৫ দিন সময় লাগবে।

অ্যান্টিবডি ট্রায়ালের আগে বা ট্রায়াল চলাকালে আমাদের জানানো হয়নি ভ্যালিডেশনে এফডিএ’র আমব্রেলা গাইডলাইন অনুসরণ করা হবে। বিএসএমএমইউ সেই প্রক্রিয়া অনুসরণ করেনি। যে কারণে কিট মূল্যায়নে সমস্যা হয়েছে। অ্যান্টিজেন কিটের ক্ষেত্রে আমরা আগেই বলেছি, কোন প্রক্রিয়ায় ট্রায়াল হবে তা ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের পূর্বেই নির্ধারণ করে দেয়ার জন্য। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতর একটি গাইডলাইনের খসড়া প্রণয়ন করেছে। আগামী বুধবারের মধ্যে অ্যান্টিজেন কিটের কার্যকারিতা পরীক্ষার গাইডলাইন চ‚ড়ান্ত হবে। তার আগে খসড়া অনুযায়ী আবেদন করা যাবে উল্লেখ করেন ড. বিজন কুমার শীল।

এ প্রসঙ্গে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সঙ্গে বৈঠকে যে সিদ্ধান্তগুলো হয়েছে তাকে আমি স্বাগত জানাই। ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালককে ধন্যবাদ জানাই। তারপরও আমার মন একটু খারাপ। কারণ এক ধরনের দীর্ঘসূত্রিতায় পড়ে যাচ্ছি। প্রক্রিয়াটি দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন হলে বেশি খুশি হতাম। ওষুধ প্রশাসন যে গাইডলাইন দেবে তা আমরা অনুসরণ করবো। এখন প্রত্যাশা থাকবে পরবর্তী ধাপগুলো যেন সেই গতিতে সম্পন্ন হয়।

তিনি বলেন, আমি আবারো বলছি, সরকার বড় ধরনের ভুল করছে। সরকারের কর্মকান্ডে পরিস্থিতির ভয়াবহতা দৃশ্যমান হচ্ছে না। আমি অনুরোধ করবো, পরিস্থিতি অনুধাবন করুন এবং গুরুত্ব দিন। নিজেরা কাজ করুন, আমাদেরও কাজ করতে দিন। সামনে যে বাঁধা আছে সেটা সরিয়ে দেয়াই সরকারের কাজ, বাঁধা সৃষ্টি করা না। আমি সরকারের শুভ বুদ্ধি কামনা করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন