রোববার, ১৬ জুন ২০২৪, ০২ আষাঢ় ১৪৩১, ০৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

বাংলাদেশ থেকে চার বছরে ৫৯৯২ মানব পাচার

প্রকাশের সময় : ৩১ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের হিউম্যান ট্রাফিকিং মনিটরিং সেলের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১২ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত চার বছরে দেশ থেকে পাচার হওয়া মানুষের সংখ্যা ৫ হাজার ৯৯২ জন। পাচার হওয়া মানুষের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৪ হাজার ৪৫০ জন। যা চার বছরে মোট পাচার হওয়া মানুষের ৭৪ শতাংশ। একই সময়ে পাচারের শিকার হওয়াদের মধ্যে রয়েছে ১ হাজার জন নারী। যা মোট পাচার হওয়া মানুষের ১৭ শতাংশ। আর চার বছরে পাচার হওয়াদের মধ্যে ৫৪২ জন শিশু রয়েছে। যা মোট পাচার হওয়া মানুষের ৯ শতাংশ।
গতকাল শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘বিশ্ব মানব পাচারবিরোধী দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় পুলিশ হেড কোয়ার্টার্সের হিউম্যান ট্রাফিকিং মনিটরিং সেলের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১২ সালে মানব পাচার বিষয়ক আইন হওয়ার পর চার বছরে (২০১৫ সাল পর্যন্ত) ২ হাজার ৪২৯ জন মনুষ পাচার হওয়ার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন। এর মধ্যে ২০১২ সালে ৩৪২ জন, ২০১৩ সালে ৩৭৭ জন, ২০১৪ সালে ৬৮২ জন ও ২০১৫ সালে ১ হাজার ২৮ জন। আলোচনা সভায় বক্তারা মানব পাচার ও তা থেকে মানুষকে রক্ষা নিয়ে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন। আইন করা হলেও তার যথাযথ বাস্তবায়ন না থাকাকে মানব পাচারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করেন তারা।
এ ছাড়া এ বিষয়ে অনেক মামলা হলেও তা নিষ্ক্রিয় থাকাকে মানব পাচার বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবেও উল্লেখ করা হয় আলোচনা সভায়। মানব পাচার রোধে শুধু সভা-সেমিনার না করে সবাইকে গ্রাম পর্যায় থেকে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন বক্তারা। এ ছাড়া আলোচনা সভা থেকে মানব পাচার রোধে কর্মমুখী শিক্ষাব্যবস্থা চালু করারও দাবি করা হয়।
আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. ওমর ফারুক। তিনি বলেন, প্রায় ১০ বছর ধরে মানব পাচারের বিষয়টি নিয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে। এই জঘন্যতম বিষয়টি জাতির জন্য লজ্জাকর। মানব পাচার রোধে শুধু সচেতনতা দিয়ে কাজ হবে না, আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আমিনুল ইসলাম। তিনি বলেন, মানব পাচার রোধে পাচার হওয়ার কারণ সবার আগে চিহ্নিত করতে হবে। একই সঙ্গে আর্থিক অভাবে শিক্ষা থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে।
আলোচনা সভায় মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মহিলা ও শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের সভাপতি প্রফেসর ইসরাত শামিম।
বিশ্ব মানব পাচারবিরোধী দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে ইউএসএইড বাংলাদেশ, উইনরক ইন্টারন্যাশনাল, ইউএনওডিসি, ইউএনএইচসিআর, ব্র্যাক, জাস্টিস অ্যান্ড কেয়ার, বিএনডবিউএলএ, ওকাফসহ ১৫টি সংগঠন।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন