কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগার
স্টাফ রিপোর্টার : কেরানীগঞ্জে স্থানান্তরিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দীদের সঙ্গে গতকাল শনিবার সাক্ষাত করতে পারেননি তাদের স্বজনরা। দেখা করতে না পেরে অনেক দর্শনার্থীই ফিরে গেছেন হতাশ হয়ে। মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে হাজতিদের সঙ্গে আলোচনা করতে না পেরে অনেকেই বিপাকে পড়েছেন। তবে কারা সূত্র জানায়, নতুন ঠিকানায় আসা বন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাত করতে আরো দু’এক দিন সময় লাগবে।
পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নতুন কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানিগঞ্জে গত শুক্রবার সকল বন্দীকে স্থানান্তর করা হয়। গতকাল কারারক্ষীরা তাদের নিজস্ব মালামালও নতুন ভবনে নিয়ে গেছেন।
গতকাল দুপুরে কেরানিগঞ্জ কারাগারে আটক ছেলের সঙ্গে দেখা করতে আসেন ঢাকার সবুজবাগের এক ব্যবসায়ী। তিনি নিজের নাম প্রকাশে অনিচ্ছা প্রকাশ করে বলেন, তার ছেলে বুয়েটের ছাত্র। গত মঙ্গলবার পুলিশ তার ছেলেকে আটক করে। তিনি ছেলেকে কিছু বই দিতে এসেছেন। বই দিতে পারলেও ছেলের সঙ্গে সাক্ষাত মেলেনি।
ঢাকার নামাপাড়ার মন্টু মিয়া জানান, তার এক বন্ধু কয়েক মাস ধরে মিথ্যা মামলায় আটক আছেন। আইনজীবীর পরামর্শে তার বন্ধুর সঙ্গে কিছু বিষয়ে আলোচনার জন্য এসেছিলেন। কিন্তু দেখা করতে পারেন নি।
নীলফামারী থেকে আসা ফারুক হোসেন জানান, তার বড় ভাইকে গত সোমবার পুলিশ আটক করেছে। ঠিকানা বদল হওয়ার পর তিনি গতকাল কারাগারে ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন। কিন্তু দেখা করতে পারেননি। কবে দেখা করতে পারবেন, তা কারারক্ষীরা বলতে পারেননি। এরকম ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দর্শনার্থীরা গতকাল স্বজনদের সাথে সাক্ষাত করতে এসেছিলেন কেরানিগঞ্জে নতুন ঠিকানার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। কিন্তু সাক্ষাৎ করতে পারেননি কেউই।
এ প্রসঙ্গে জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, মাত্র ১ দিন আগে গত শুক্রবার আমরা ৬ হাজার ৫১১ জন বন্দীকে পুরোনো কারাগার থেকে এখানে নিয়ে এসেছি। এখানে তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে। কারাবন্দীদের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য আলাদা একটি জায়গা করা হচ্ছে। এখন সেই প্রস্তুতি চলছে। তাই সাক্ষাৎ করতে দু-এক দিন সময় লাগতে পারে।
নতুন কারাগার সম্পর্কে কারারক্ষীরা জানান, নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো ভবনটি ছিল ঘিঞ্জির মধ্যে। কিন্তু এখানকার পরিবেশ অনেক খোলামেলা। জায়গা বেশি। আলো-বাতাসও বেশি। এখানে বেশ ভালো আছি। উল্লেখ্য, ২২৮ বছর পর গত শুক্রবার পুরোনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোড থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ঠিকানা হয়েছে দক্ষিণ কেরানিগঞ্জের তেঘরিয়ার রাজেন্দ্রপুরে। সেদিন বন্দীদের আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন ঠিকানায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন