ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা : ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার কাটাখালী নামক স্থানে পুলিশের সাথে কথিত বন্দুকযুদ্ধে রমজান আলী (৪৬) এক ডাকাত সদস্য নিহত হয়েছে। সে মহেশপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রামের কুড়োন ম-লের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে ২টি শার্টার গান, ৫ রাইন্ড গুলি, ৩টি বোমা, ২টি ধারালো করাত ও দড়ি উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় পুলিশের ২ কনস্টেবল সেলিম রেজা ও আহসান হাবিব আহত হন। শনিবার ভোররাতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে এ ঘটনা ঘটে বলে পুলিশের দাবি। মহেশপুর থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশের একটি টহল গাড়ি মহেশপুর কোটচাঁদপুর সড়কের কাটাখালী নামক স্থানে পৌঁছালে ওঁৎ পেতে থাকা ডাকাত দলের সদস্যরা পুলিশের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে মারে। এ সময় পুলিশ পাল্টা গুলি চালালে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। দশ মিনিট গুলি বিনিময়ের পর ডাকাত দলের সদস্যরা পালিয়ে যায়। পুলিশ ২১ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অজ্ঞাত দেখিয়ে এক ডাকাত সদস্যের লাশ উদ্ধার করে। শনিবার বিকাল ৫টার দিকে কৃষ্ণপুর গ্রামের ইউপি সদস্য ওমর আলী ও একই গ্রামের বাসিন্দা কোমল কুমার মৃত দেহটি রমজান আলীর বলে শনাক্ত করে। রমজান আলীকে চিহ্নিত ডাকাত হিসেবে দাবি করে ওসি জানান, তার তিন স্ত্রী রয়েছে। রমজান আলীর স্বজনদের অভিযোগ গত ২৬ জুলাই ডিবি পুলিশ পরিচয় দিয়ে রমজান আলীকে তুলে নিয়ে যায়। সেই থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রমজান আলী বেশিরভাগ সময় যশোরে তার ছোট স্ত্রীর কাছে বসবাস করতেন। তার বিরুদ্ধে মহেশপুরসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন