শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

করোনা উপসর্গে মৃত ২১

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনা উপসর্গ সর্দি, জ্বর, কাশি, গলাব্যথা ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সারা দেশে ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সবচেয়ে বেশি ৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ফেনীতে ৩, চাঁদপুরে ২ জন, রাজশাহী, ফরিদপুর, মৌলভীবাজার, ঝালকাঠি, সাতক্ষীরা পিরোজপুর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করে। তবে এদের কারো শরীরে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি ছিল কিনা তা নিশ্চিত নয় বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টারে গতকাল করোনার টেস্টের ফলাফলে ৭৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। যবিপ্রবির জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুর রশীদ অর্ণব জানান, যশোরের ১১৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৯ জনের, মাগুরার ৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬ জনের, বাগেরহাটের ৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের ও সাতক্ষীরার ৫৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৬ জনের নমুনাতে কোভিড-১৯ পজেটিভ পাওয়া গেছে। অর্থাৎ যবিপ্রবির ল্যাবে মোট ২৭১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭৯ জনের করোনা পজিটিভ এবং ১৯২ জনের নেগেটিভ ফলাফল এসেছে।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, দক্ষিণাঞ্চলে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি গত ২৪ ঘণ্টায় কিছুটা উন্নতির আভাস মিলেছে। তবে তা কতটুকু টেকসই বা স্থায়ী হবে সে বিষয়ে সংশয় রয়েছে বিশেষজ্ঞ মহলে। এসময়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ জন। যা পূর্ববর্তী দিনে ছিল ১১৪। এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবারের হিসেবে কোন মৃত্যু ছিল না। আগের দিনও দু’জনের মৃত্যু ঘটে। দক্ষিণাঞ্চলে গত ৫ জুলাই ৫ জন, ৬ জুলাই ৩ জন, ৭ জুলাই ১ জন ও ৮ জুলাই ৩ জনের মৃত্যু ঘটে। এ পর্যন্ত দক্ষিণাঞ্চলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৮০। আর আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭২২ জন।
তবে বরিশালে আক্রান্তের সংখ্যাটা পূর্ববর্তী দিনে ১৮ থেকে বৃহস্পতিবারের হিসেবে ৩০ জন হয়েছে। এ সময়ে পিরোজপুরেও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের ৩ থেকে ৫ এ উন্নীত হয়েছে। অন্যসব জেলাগুলোতে আক্রান্তের সংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। এছাড়া গতকাল গতকাল সকালের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আরো ৯৮ জনসহ মোট ১ হাজার ৩৫৮ জন সুস্থ হয়েছেন বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দফতর জানিয়েছে।
গতকাল দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় বরিশালে নতুন করে ৩০ জন আক্রান্তের মধ্যে বরিশাল মহানগরীতেই সংখ্যাটা ২২ জন। যার মধ্যে চিকিৎসক ও চিকিৎসা কর্মীসহ পুলিশের বিভিন্ন শাখার কর্র্মকর্তা-কর্মচারী রয়েছে। শুধুমাত্র বরিশাল মহানগর পুলিশেরই প্রায় সোয়া ২ শ’ কর্মী এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমণের শিকার বলে জানা গেছে। তবে ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ জন সুস্থ হয়ে কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন। এছাড়া মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় প্রতিদিনই করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
অপরদিকে পটুয়াখালীতে গত বুধবার ৩০ জনের স্থলে গতকাল গতকাল ৭ জন, ভোলাতে আগের দিনের ১২ জনের স্থলে ৫ জন, বরগুনাতে আগের দিনের ২৫ জনের স্থলে ৮ জন ও ঝালকাঠিতে আগের দিনের ২৬ জনের স্থলে গতকাল ১৬ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা যায়। তবে পিরোজপুরে আক্রান্তের সংখ্যাটা বুধবারের ৩ থেকে বৃহস্পতিবারে ৫ জনে উন্নীত হয়েছে।
গতকাল দুপুরের পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় দক্ষিণাঞ্চলে নুতন করে সুস্থ হয়ে ওঠা ৯৮ জনের মধ্যে বরিশালে ৩০, ঝালকাঠিতে ২১, ভোলাতে ২০, পটুয়াখালীতে ১০, পিরোজপুরে ৯ ও বরগুনাতে ৯ জন রয়েছে।
এদিকে বরিশাল শের এ বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৮ জনকে ভর্তি করা হলেও দু’জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে। এসময়ে হাসপাতালটির করোনা ওয়ার্ডে আরো ৪ জনকে ভর্তি করা হলেও ছাড়া পেয়েছেন দু’জন। বর্তমানে এদু’টি ওয়ার্ডে যথাক্রমে ৬৩ ও ৪২ জন চিকিৎসাধীন। গত ২৪ ঘণ্টায় হাসপাতালের এ দু’টি ওয়ার্ডে ভর্তিকৃতদের মধ্যে ১১ জনের রক্তের নমুনা পরীক্ষায় ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস সনাক্ত হয়েছে।
রাজশাহী ব্যুরো জানায়, রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এক ব্যবসায়ী এবং উপসর্গ নিয়ে একজন পল্লি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে ব্যবসায়ীর এবং বুধবার (৮ জুলাই) দিবাগত রাতে পল্লি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। তারা হলেন নওগাঁ সদর উপজেলার পাড়নওগাঁ এলাকার মৃত শ্যামাপদ দাসের ছেলে পল্লি চিকিৎসক রতন কুমার দাস এবং রাজশাহী নগরীর মালোপাড়া ভুবনমোহন পার্ক এলাকার ব্যবসায়ী তোফাজ্জল হোসেন (৫৮)।
এদিকে, রাজশাহীর দুই ল্যাবে গত বুধবার রাতে ৮৫ জনের নমুনায় করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজশাহীর ৭৮ জন। ফলে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪১৬ জনে।
রামেক হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. সাইফুল ফেরদৌস জানান, বুধবার তাদের ল্যাবে ১৮৪টি নমুনার রিপোর্ট এসেছে। এর মধ্যে ৪৮ জনের পজিটিভ। তারা সবাই রাজশাহী জেলার। আক্রান্তদের মধ্যে রামেক হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও বিভিন্ন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ২৩ জন, মহানগরীর ১৫ জন, পুলিশ হাসপাতালের তিনজন, ইসলামী ব্যাংকের পাঁচজন ও মোহনপুরের কেশরহাটের দুইজন।
রামেক হাসপাতালের আক্রান্তরা হলেন- ডা. কে.এইচ নাফিজ রহমান (৩৪), ডা. মো. হাবিবুল্লাহ (২৫), ডা. মনিরুল খান (৩৭), ডা. নাউদিলা সুর চৌধুরী (৩১), ৩০ নং ওয়ার্ডের মিলন (৩৯), ২১ নং ওয়ার্ডের সোনানে (৩৩), ৩৯ নং ওয়ার্ডের শামসুল হক (৫৩), ৩৪ নং ওয়ার্ডের মোসা. ইতি খাতুন (২৭)।
রুবিনা খাতুন (৩০), আদরী খাতুন (৩৬), শিরিনা খাতুন (৩০), ফাহিমা খাতুন (৪৩), গৌড়হাঙ্গার নাফিসা তাবাস্সুম (২১), রাশেদা বেগম (৪৭), জিল্লুর রহমান (৫২), ল²ীপুরের মো. সায়েম (৪৪), ইসলামী ব্যাংকের মো. আজিজুল হক (৩৩)। মালোপাড়ার মো. তোফাজ্জেল হোসেন (৫৭), আনিসুর রহমান (৭৫), ফাউজিয়া ফেরদৌসী (৩৭), সিটি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. অর্পিতা দাস (৩৭), র‌্যাব-৫ সদস্য মো. সুজন মিয়া (৩০)।
মহানগরীর শনাক্তরা হলেন- বহরমপুরের মাহাবুবুর রহমান (৪০), উপশহরের মাসুদ আলী খান (৫৫), কেশবপুরের নাসিমা আমিন (২০), চন্ডিপুরের শামীমা আফরিন (১৬), শাহী মনজুরুল (৩৭), ফেরদৌসী আক্তার (৪১)।
এম.এম শাফায়েত হোসেন (৩৩), জহির উদ্দীন (৩৪), ফিরোজ কবীর (৫০)। নার্গিস সুলতানা (৪৮), সাদিয়া রিফাত (৩২), মুসলিমা বেগম (৫৫), গোলাম কিবরিয়া (৩৪), জাহেদা বেগম (৫০), ১৯ নং ওয়ার্ডের শামসুল হক (৬৫)। পুলিশ হাসপাতালের নিয়াজ মেহেদী (২৮), মাহবুবুর হরমান (৪০), সালমা সুলতানা (৫৫)। ইসলামী ব্যাংকের হারুন-অর-রশীদ (৩৫), মো. আউয়াল (৪০), মো. শহীদুল্লাহ (৩৯), নাজিম উদ্দিন (), আবু বক্কর সিদ্দিক (৪৮)। আর মোহনপুরের কেশরহাটের মো. মাইদুল ইসলাম (৩৩), মো. হোসেন আলী (৭৮)।
এর আগে সন্ধ্যায় রামেকের ভাইরোলজি বিভাগের ল্যাবে ৩৭ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়। যার মধ্যে ৩০ জনেরই বাড়ি রাজশাহীতে। এর মধ্যে ১৪ জন মহানগরী, ১১ জন পবা, ৩ জন গোদাগাড়ী এবং ২ জন মোহনপুরের বাসিন্দা। বাকি সাতটির মধ্যে ৬ জনেরই বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ। আর একজনের বাড়ি নাটোর।
মহানগরীর আক্রান্তরা হলেন- আবু সাঈদ (২২), ইমরান আলী (২৬), মনিরুল ইসলাম (৪৩), নূরজাহান খাতুন (৫৮), হাসিনা হক (৬০), সৈয়দা বেগম (৬৭), আকলিমা খাতুন (৪০), আরিফুজ্জামান (৫১), সারোয়ার পারভেজ (২৯), কুতুব উদ্দিন (৩৪), আসাদুর রহিম (২৪), আবদুর রাজ্জাক (৪২), রবিন (২৭) এবং ফজলে রাব্বি (৭৫)।
পবার নতুন কোভিড-১৯ রোগীরা হলেন- মনিরুজ্জামান (৫৪), ফারিহা (২২), কানিজ ফাতেমা (৪২), ডা. কৌশিক (৩১), মিজানুর (৩৩), আক্তার (৩৫), চম্পা (৪৩), সারমিন সুলতানা (৪০), এবং কাইয়ুম (৫০)।
গোদাগাড়ীর আক্রান্তরা হলেন- সাথি (২৫), মেরিনা (৩৭) এবং রতন আলী (৩০)। মোহনপুরের ২ জন হলেন- জিল্লুর (৩৫) এবং আল-আমিন (৩৫)। নাটোরের লালপুরের আক্রান্ত ব্যক্তির নাম হাবিবুল্লাহ (৫৫)। আর চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৬ জন হলেন- সদর উপজেলার শামিম (৩২), ওবায়দুল (৫৫), রাজন কুমার (৩৫), রহমান (৩৯), জহুরুল (৫০) এবং মাহবুবা (২৪)।
এদিকে, একদিনে নতুন ৭৮ জন শনাক্ত হওয়ায় রাজশাহীতে আক্রান্তের সংখ্য দাঁড়াল ১৪১৬ জন। এর মধ্যে মারা গেছেন ১৩ জন। রাজশাহীতে এ সুস্থ হয়েছেন ১৫৪ জন।
এছাড়া রাজশাহী বিভাগে আট জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরও অবনতি হয়েছে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি। আরও বেড়েছে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা। বিভাগের আট জেলার মধ্যে ছয় জেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। জয়পুরহাট ও পাবনায় এ দিন কোন করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়নি। গত ২৪ ঘন্টায় রাজশাহীতে ১ জন ও বগুড়ায় ১ জন করোনা আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন। গতকাল দুপুর পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭হাজার ৭৮৬ জনে। এ বিভাগে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১০৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ২৮৭৩ জন। দুপুরে এক প্রতিবেদনে রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তারের পরিচালক ডা. গোপেন্দ্র নাথ আচার্য্য এ তথ্য জানান। তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন শনাক্তের মধ্যে রাজশাহীর ৭৭ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৬ জন, নওগাঁয় ১ জন, নাটোরের ১ জন, বগুড়ায় ৫০ জন ও সিরাজগঞ্জে ২৪ জন।
ডা. গোপেন্দ্র জানান, রাজশাহী বিভাগে এ পর্যন্ত ৭৭৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ বগুড়ায় ৩৫৫১ জন আক্রান্ত। এছাড়াও রাজশাহীতে ১৪১৫ জন, চাঁপাইনবাবগঞ্জে ১২২ জন, নওগাঁয় ৫৮৭ জন, নাটোরে ২৫৭ জন, জয়পুরহাটে ৫১১ জন, সিরাজগঞ্জে ৭৪৪ জন ও পাবনায় ৫৯৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝিনাইদহ শহরের পাড়া মহল্লায় করোনা ছড়িয়ে পড়েছে। জেলার কয়েকটি গ্রামেও বিস্তার ঘটেছে মহামারি এই রোগের। ২৪ ঘন্টায় ঝিনাইদহে তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে নুতন ৩৩ জন সহ ৩৬৬ জন। উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে একজন। এই নিয়ে জেলায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়ালো ৭। ঝিনাইদহ সিভিল সার্জন অফিসের মুখপাত্র ডা. প্রসেঞ্জিত এ তথ্য জানান। সূত্রমতে ঝিনাইদহে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত জামায়াত নেতা তাজুল ইসলাম (৬৫) মারা গেছেন। তিনি ঝিনাইদহ শহরের ট্রাক টার্মিনাল পাড়ার বাসিন্দা। এক সপ্তাহ আগে তার করোনা সনাক্ত হয়। নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। অন্যদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত শৈলকুপার রাকিব হোসেনের রিপোর্ট পজেটিভ এসেছে। তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে গত মঙ্গলবার ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে মারা যান। রাকিব হোসেন শৈলকুপা উপজেলার মিন গ্রামের খেলাফত মন্ডলের ছেলে।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ীতে এই প্রথম করোনা আক্রান্ত হয়ে এক নারী মৃত্যু বরণ করেছেন। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫জনে। এরমধ্যে নারী দুজন এবং পুরুষ ৩জন। এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৪১জন। এর মধ্যে সুস্থ্য হয়েছেন ১২২জন।
কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, কুষ্টিয়ায় নতুন করে আরো ৩৫ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। ৮ জুলাই বুধবার রাতে জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে জানানো হয়, কুষ্টিয়ার মেডিকেল কলেজের প্রদত্ত তথ্য মতে পিসিআর ল্যাবে গতকাল ৩৭৬ টি স্যাম্পলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে কুষ্টিয়ার ১৬৫টি নমুনা। তাতে সদর উপজেলার ২৭ জন, খোকসা উপজেলার ২ জন, দৌলতপুর উপজেলায় ৩ জন, ভেড়ামারা উপজেলার ২ জন ও মিরপুর উপজেলায় ১ জনসহ ৩৫ জন নতুন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় আক্রান্ত ২৭ জনের ঠিকানা পূর্ব মজমপুর ১ জন, চৌড়হাস ১ জন, কুমারগাড়া ১ জন, হাউজিং বøক ডি ১ জন, পশ্চিম মজমপুর ১ জন, কোর্টপাড়া ১ জন, বড়াইলছাড়া ১ জন, কেজেএইচ ১ জন, পিয়ারাতলা ১ জন, কাস্টমস মোড় ১ জন, আমলাপাড়া ১ জন, কমলাপুর ৪ জন, বটতৈল ১ জন, সনো হসপিটাল ২ জন, কালিশংকরপুর ২ জন, কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ ১ জন, পুরাতন কুষ্টিয়া ১ জন, হরিশংকরপুর ২ জন, জুগিয়া ১ জন, মজমপুর ১ জন, দেসওয়ালি পাড়া মোহিনি মিল ১ জন। দৌলতপুর উপজেলায় আক্রান্ত ৩ জনের ঠিকানা খাপাড়া, পাইলট স্কুল, মাস্টারপাড়া। মিরপুর উপজেলায় আক্রান্ত ১ জনের ঠিকানা মিরপুর ৬। খোকসা উপজেলায় আক্রান্ত ২ জনের ঠিকানা রাজিনাথপুর, কাদিরপুর। ভেড়ামারা উপজেলার আক্রান্ত ২ জনের ঠিকানা ১৬ দাগ ও জগশ্বর।
লালপুর (নাটোর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, উপজেলায় ৪জন মেডিকেল স্টার্ফ, একজন শিশু, একজন পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যসহ মোট ৩৭জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ২৯ জন।
মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরে দুই জন স্বাস্থ্য সহকারীসহ নতুন আরো ৩০জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে সদর উপজেলায় ১৫, কালকিনি ৩, রাজৈরে ৯ এবং শিবচর উপজেলায় ৩জন। এ নিয়ে গতকাল দুপুর পর্যন্ত জেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯২৬জনে। আক্রান্ত দুইজন স্বাস্থ্যসহকারী হলো রাজৈর উপজেলার।
মঠবাড়িয়া (পিরোজপুর) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় গত ৪ দিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে বকসির ঘটিচোরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মনিরা বেগমের (৪০) করেনা উপসর্গ নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে। মনিরা বেগম উপজেলার সবুজ নগর এলাকার বাবুল মিয়ার স্ত্রী এবং একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন মুন্সির মেয়ে।
পারিবারিক সূত্র জানায়, ৫/৬ দিন আগে মনিরা বেগমের হালকা জ¦র ও সর্দী-কাশি দেখা দেয়। তার অবস্থার অবনতি হলে বৃহষ্পতিবার সকালে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এনে ভর্তি করা হয়। সকাল ১০টার দিকে ঐ শিক্ষকার মৃত্যু হয়। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ফেদৌস ইসলাম জানান, জ¦র ও প্রচন্ড শ^াসকষ্ট সহ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসার কিছুক্ষনের মধ্যেই জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্কুল শিক্ষিকার মৃত্যু হয়।
সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদতা জানান, করোনার উপসর্গ নিয়ে সাতক্ষীরায় আরো এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ভোরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশনে তিনি মারা গিয়েছেন।
মৃত ব্যক্তির নাম নূর ইসলাম (৫৬)। তিনি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পরানদহা গ্রামের নাসির উদ্দীনের ছেলে।
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ রফিকুল ইসলাম জানান, জ¦র ও শ^াসকষ্ট নিয়ে বুধবার দুপুরে নূর ইসলাম ভর্তি হন। রাত তিনটার দিকে তিনি মারা যান। তার নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবুল কালাম আজাদ বকল করোনায় আক্রান্ত হয়ে গতকাল ভোরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন। জেলায় নতুন করে স্বাস্থকর্মী, বেসরকারি ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ ১৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
এ নিয়ে জেলায় সর্বমোট আক্রান্তের সংখ্যা ৮৫২ জন। মোট সুস্থ্য রোগীর সংখ্যা ৪২৩ জন, মোট মৃত্যু ১৮ জন। বাড়িতে ও আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন আছে ৩৯৫ জন। নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট পেন্ডিং রয়েছে ৭৭ টি। টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ডা. মো. ওয়াহিদুজ্জামান গতকাল সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নতুন করে আক্রান্তরা হলো, টাঙ্গাইল সদরে ঢাকা ক্লিনিকের ম্যানেজারসহ ৪ জন, নাগরপুরে একজন, সখীপুরে একজন, মির্জাপুরে স্বাস্থ্যকর্মীসহ ২ জন, কালিহাতীতে ৩ জন, ঘাটাইলে একজন ও মধুপুর উপজেলায় ৩ জন রয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে হারুন অর রশীদ (৫২) নামে এক আইনজীবী সহকারির মৃত্যু হয়েছে। গতকাল সকালে শহরের পালবাড়ির বাসা থেকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। মৃত ব্যাক্তির পারিবারিক সূত্র জানায়, হারুন অর রশীদ শহরের পালবাড়ির বাসায় এক সপ্তাহ ধরে বুকে ব্যাথা শ্বাসকষ্ট ও জ্বরে ভুগছিলেন। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত ব্যাক্তির নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এনিয়ে ঝালকাঠি জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩৪ জনের এবং করোনা পজেটিভ হয়ে ১২ জনের মৃত্যু হয়।
গোপালগঞ্জ থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, গোপালগঞ্জে করোনায় আক্রান্ত ৯ শ’ ছাড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১ জন চিকিৎসক ও ১ স্বাস্থ্য কর্মী সহ আরও ২৭ জনের শরীরে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে গোপালগঞ্জে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯২৪ জনে।
গত ২৪ ঘন্টায় ৪০ জন সুস্থ হয়েছেন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৩৬ জন। জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ও বাড়িতে আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৩৭৩ জন । গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া মুকসুদপুর, কাশিয়ানী ও টুঙ্গিপাড়ায় মারা গেছেন ১৫ জন। গতকাল সকালে গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ এ তথ্য জানান। তিনি আরো জানান, নতুন করে গত ২৪ ঘন্টায় গোপালগঞ্জ সদরে ৮ জন, মুকসুদপুরে ৩ জন, কোটালীপাড়ায় ২ জন, কাশিয়ানীতে ১৩ জন ও টুঙ্গিপাড়ায় ১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। সিভিল সার্জন জানান, আক্রান্তদের বসতবাড়ি সহ আশপাশের বেশ কয়েকটি বাড়িঘর লকডাউন করা হয়েছে। সেই সাথে আক্রান্তদের পরিবারের সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার পারমর্শ দেয়া হয়েছে।
তিনি আরো জানান, এ পর্যন্ত ৫৯১৪ টি নমূনা পরীক্ষা করা হয়েছে।এর মধ্যে মুকসুদপুরে ১৯২ জন, কাশিয়ানীতে ১৭৪ জন, গোপালগঞ্জ সদরে ২৬৫ জন, টুঙ্গিপাড়ায় ১৫৬ জন ও কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৩৭ জনের দেহে করোনা সনাক্ত হয়েছে।
ভ্রাম্যমান সংবাদদাতা জানান, কুমিল্লায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সাতজনের মৃত্যু হয়েছে। কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তাঁদের। হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. ইশতিয়াক চৌধুরী গতকাল সকালে এ তথ্য জানিয়েছেন। ডা. ইশতিয়াক চৌধুরী জানান, করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া ওই সাতজনের মধ্যে চারজন পুরুষ ও তিনজন নারী। তারা সবাই মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। তাদের মধ্যে প্রায় সবারই শ্বাসকষ্ট ছিল। করোনা পরীক্ষার জন্য তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। এদিকে, জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লায় এখন পর্যন্ত চার হাজার ১৬৭ জনের করোনা শনাক্ত করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সুস্থ হয়েছে দুই হাজার ১২৪ জন। এবং করোনায় আক্রান্ত হয়ে ১১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
ফেনী : ফেনীতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে ষাটোর্ধ্ব এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার দুপুর থেকে গতকাল দুপুরের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। ফেনী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) ডা. ইকবাল হোসেন ভূঞা এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, 'জ্বর, শ্বাসকষ্ট ও ডায়াবেটিস-সহ নানা রোগ নিয়ে মঙ্গলবার হাসপাতালে ভর্তি হন ফুলগাজী উপজেলার আনন্দপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আনন্দপুর গ্রামের ষাটোর্ধ্ব নূর জাহান। হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে বুধবার রাতে তার মৃত্যু হয়। এর আগে একই রাতে হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে পরশুরাম উপজেলার মোখলেছুর রহমান (৬৫) মারা যান। মারা যাওয়ার পর তাদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য নোয়াখালী আবদুল মালেক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাবে পাঠানো হয়েছে।'
অন্যদিকে, করোনার উপসর্গ নিয়ে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিজানুর রহমান ফিরোজ নামে ফেনীর এক আইনজীবীর মৃত্যু হয়েছে। নিহত মিজানুর জেলার দাগনভূঞা উপজেলার সিন্দুরপুর ইউনিয়নের কোরবানপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ২০১৬ সালে ফেনী জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যপদ লাভ করেন।


স্টাফ রিপোর্টার, চাঁদপুর থেকে জানান, চাঁদপুরে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) উপসর্গ নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাসহ দুই জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেয়ার পথে অন্যজন চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান। গতকাল ভোরে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য এবং জেলার মতলব দক্ষিণ উপজেলা কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে ঢাকায় নেয়ার পথে মারা যান। গত দুই সপ্তাহ ধরে সর্দি জ্বর ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন তিনি। এরমধ্যে দুই দফায় তার নমুনায় করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। দুপুরে জানাজা শেষে মতলব পৌরসভার কলাদী এলাকায় পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয় তাকে। এমন তথ্য জানিয়েছেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. গোলাম কাওসার হিমেল।
এদিকে, চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গতকাল সকালে ভর্তির এক ঘণ্টা পর মারা যান জাহাঙ্গীর প্রধানিয়া (৪৫) নামে আরেকজন। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ও করোনা বিষয়ক ফোকাল পার্সন ডা. সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, প্রচÐ শ্বাসকষ্টে আক্রান্তকে স্বজনরা যখন নিয়ে আসেন। সেসময়ে তার শারীরিক অবস্থা সঙ্কটাপন্ন ছিল। এরমধ্যেই মারা যান এই রোগী। মৃত জাহাঙ্গীর প্রধানিয়ার বাড়ি চাঁদপুর সদরের বিষ্ণুপুর এলাকায়। তার নমুনা সংগ্রহ করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে দাফনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমন তথ্য জানিয়েছেন ডা. রুবেল। এদিকে, চাঁদপুর আরো ৩৭জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়ালো ১ হাজার ২৩২জন। এরমধ্যে মৃতের সংখ্যা ৬৬জন।
বোয়ালমারী (ফরিদপুর) উপজেলা সংবাদাদাতা জানান, ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় মো. ই¯্রাফিল শেখ (৫৫) নামে আরও এক করোনায় আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। গতকাল ভোর ৫টায় উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে নিজবাড়িতে তিনি মারা যান। বোয়ালমারীতে এ নিয়ে ৩জন করোনায় আক্রান্ত রোগী মৃত্যু হলো। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান এ তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে গতকাল দুপুর ১২টায় উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সমন্বয়ে দূর্গাপুর কবরস্থানে করোনায় মারা যাওয়া রোগীর লাশ দাফন করা হয়েছে।
ডা. খালেদুর রহমান জানান, ঢাকার একটি সিকোরিটি ফার্মে ই¯্রাফিল শেখ চাকরি করতো। গত ১৪ জুন তিনি স্টোক করে ঢাকা হ্নদরোগ ইনষ্টিটিউটে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় ৪ জুলাই তার নমুনা সংগ্রহে করোনা পজেটিভ ধরা পড়ে। রোগীকে হ্দরোগ ইনষ্টিটিউট কভিট হাসপাতালে স্থানান্তর করলে; হাসপাতালে না গিয়ে রোগীর লোকজন ই¯্রাফিলকে বোয়ালমারীর দূর্গাপুর নিজবাড়িতে নিয়ে আসেন। নিজবাড়িতে আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় গতকাল ভোরে তিনি মারা যান।
মৌলভীবাজার : মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের আইসোলেশন ইউনিটে করোনার উপসর্গ নিয়ে এক ব্যক্তির (৩০) মৃত্যু হয়েছে। গত বুধবার বিকেল সাড়ে চারটায় ওই হাসপাতালে ভর্তির আধা ঘণ্টার মধ্যে তিনি মারা যান। তার বাড়ি শ্রীমঙ্গল উপজেলার একটি চা-বাগান এলাকায়।
আলফাডাঙ্গা (ফরিদপুর) : ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা উপজেলায় করোনা উপসর্গে মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া (৫৯) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। বুধবার রাতে নিজ বিছানায় ঘুমানোর পর গতকাল সকালে পরিবারের সদস্যরা তাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পায়। মোশারফ হোসেন ভূঁইয়া উপজেলার পৌর এলাকার কলেজ রোডের বাসিন্দা। তিনি আলফাডাঙ্গা সিটি ব্যাংক শাখার গার্ড হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।
চুয়াডাঙ্গা : করোনা উপসর্গ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জমসেদ আলী (৬০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল দুপুরে চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন