বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

চালু করা যাচ্ছে না অভ্যন্তরীণ ৩ বিমানবন্দর

ডাক্তার-নার্সের অভাব

বিশেষ সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১১ জুলাই, ২০২০, ১২:০০ এএম

করোনায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বিমান খাত। দীর্ঘদিন লকডাউন থাকার পর কিছু ফ্লাইট চালু হলেও যাত্রী সংকট দেখা দিয়েছে। এতে করে লোকসানের ঘানি টানতে হচ্ছে বিমান সংস্থাগুলোকে। এই সময়ে অভ্যান্তরীণ বিমানবন্দরগুলো চালু থাকলে হয়তো লোকসান কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু দেশের অভ্যন্তরীণ ৩টি বিমানবন্দর চালু করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী দিতে পারছে না স্বাস্থ্য অধিদফতর। এতে চালু করা যাচ্ছে না কক্সবাজার, বরিশাল ও রাজশাহী বিমানবন্দর।
এ প্রসঙ্গে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের ( বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বলেন, বিমানবন্দরগুলো চালুর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বন্দরগুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক স্বাস্থ্যকর্মী দিতে স্বাস্থ্য অধিদফতরকে দফায় দফায় চিঠিও দেওয়া হয়েছে। বিমানবন্দরগুলো চালু করতে আমরা প্রস্তুত আছি। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে আইকাও এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী ন্যূনতম স্বাস্থ্য সুবিধা না থাকায় বিমানবন্দর তিনটি চালু করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, একটি বিমানবন্দর চালু করতে নূন্যতম দুজন ডাক্তার (তিনজন প্রয়োজন), দুজন নার্স (তিনজন প্রয়োজন) আর কিছু স্বাস্থ্যকর্মী লাগে। সঙ্গে একটি অ্যাম্বুলেন্স লাগে। সেটা আমাদের রয়েছে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতর বিমানবন্দরগুলো চালু করতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ডাক্তার-নার্স দিতে পারছে না। মফিদুর রহমান জানান, কক্সবাজার রুটে যাত্রীদের চাহিদা থাকলেও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় বিমানবন্দরটি চালু করা সম্ভব হচ্ছে না। কক্সবাজার, বরিশাল ও রাজশাহী বিমানবন্দর চালু হলে দেশের অভ্যন্তরীণ বিমানখাত অনেকটা লাভবান হবে। কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরকে বারবার চিঠি দিলেও বিষয়টি তারা আমলে নিচ্ছে না। তিনি বলেন, এর আগে চট্টগ্রাম, সিলেট, সৈয়দপুর ও যশোর বিমানবন্দর চালু করা সম্ভব হয়েছে। কারণ এই বিমানবন্দরগুলোতে স্বাস্থ্য নিরাপত্তা রয়েছে। সৈয়দপুর ও যশোরে স্থানীয় সিভিল সার্জন অফিস থেকে ডাক্তার ও নার্স দেওয়া হয়েছে। আমরা প্রস্তুত আছি, ডাক্তার-নার্স দিলেই অন্য তিন অভ্যন্তরীণ বিমানবন্দর চালু করা হবে।
আইকাওয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লাইট চলাচল চালু করতে হলে বিমানবন্দরে অবশ্যই চিকিৎসা ব্যবস্থা থাকতে হবে। কেননা বিমানে বা বন্দরে একজন রোগী অসুস্থ বোধ করলে বিমানবন্দরে নেমে যেন প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারেন। অর্থাৎ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা না থাকলে বিমানবন্দর চালুর অনুমতি দেওয়া যাবে না বলেও আইকাওয়ের নির্দেশনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ইউএসবাংলা এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম বলেন, বর্তমান যে অবস্থা সেখানে অভ্যন্তরীণ অন্য তিনটি রুট চালু হলে যাত্রী বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেইসঙ্গে ঈদকে সামনে রেখে করোনায় অর্থনৈতিক ক্ষতি কিছুটা হলেও কাটিয়ে ওঠা যাবে। বিমানবন্দরগুলো চালু হওয়ামাত্রই আমরা যাত্রী পরিবহনে প্রস্তুত আছি।

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন