করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী ফ্রন্টলাইনযোদ্ধা কর্তব্যরত চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ‘নেগেটিভ প্রেশার আইসোলেশন ক্যানোপি’ উদ্ভাবন, উন্নয়ন ও আইসিইউতে ব্যবহার বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) এ্যানেসথেশিয়া, এ্যানালজেশিয়া এন্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগ-এর যৌথ উদ্যোগে গতকাল ডা. মিল্টন হলে এক গুরুত্বপূর্ণ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বিএসএমএমইউ’র ভিসি প্রফেসর ডা. কনক কান্তি বড়–য়া বর্তমান মহামারি পরিস্থিতে দেশেই এ ধরণের একটি প্রযুক্তির উদ্ভাবনের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োমেডিকেল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের প্রতিষ্ঠা চেয়ারপার্সন ও বর্তমানে অনারারি প্রফেসর খোন্দকার সিদ্দিক-ই রব্বানীসহ সংশ্লিষ্ট কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের সম্মিলিত গবেষক দলকে ধন্যবাদ জানান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের কথা উল্লেখ করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. মোঃ আখতারুজ্জামান অনলাইনে সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেন। সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিএসএমএমইউ প্রো-ভিসি প্রফেসর ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, প্রফেসর ডা. মো. জাহিদ হোসেন এবং প্রফেসর ডা. একেএম আখতারুজ্জামান, প্রফেসর ডা. মো. সায়েদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আবদুল কাদির প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, একটি গবেষণা দল সম্পূর্ণ নিজস্ব ডিজাইনে ‘নেগেটিভ প্রেশার আইসোলেশন ক্যানোপি’ তৈরি করেছেন যা কেবলমাত্র একটি বিছানার উপরে একজন রোগীকে আলাদা করে রাখবে। এর চারদিকের পর্দা স্বচ্ছ ও উঁচু হওয়ায় রোগী অস্বস্তিবোধ করবেন না। এই গবেষক দলের ডিজাইনে হেপা ফিল্টারের সাথে বাড়তি আছে আল্ট্রাভায়োলেট আলোর প্রযুক্তি যার মাধ্যমে প্রথমেই সব জীবাণু ও ভাইরাস ধ্বংস করে ফেলা হয়। এই ক্যানোপি কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসাসেবা প্রদানকারী সম্মুখযোদ্ধা কর্তব্যরত চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা বিধানে সহায়ক হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন