চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে (চসিক) এখন বিদায়ের সুর। মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বে বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। নির্বাচন কমিশন (ইসি) জানিয়ে দিয়েছে তার আগে চসিকের ভোটগ্রহণ সম্ভব নয়। স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন মেয়াদ শেষ হতেই প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হবে।
নিয়োগকৃত প্রশাসককে সহযোগিতার জন্য আলাদা একটি পরিষদও গঠন করা হতে পারে। তবে প্রশাসক হিসাবে বর্তমান মেয়র থাকবেন না অন্য কেউ তা এখনও নিশ্চিত নয়। নতুন পরিষদ না আসা পর্যন্ত কার নেতৃত্বে চলবে চসিক তা নিয়ে নগরীতে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। প্রশাসক, নাকি বর্তমান পরিষদ, আবার প্রশাসক হলেও ওই পদে আ জ ম নাছির না অন্য কেউ- এ সিদ্ধান্ত নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
চসিক নির্বাচন গত ২৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা সংক্রমণ বিস্তারের কারণে গত ২১ মার্চ অনির্দিষ্টকালের জন্য নির্বাচন স্থগিত করা হয়। মঙ্গলবার ইসির পক্ষ থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়কে জানিয়ে দেওয়া হয় বর্তমান পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়া আগে ভোটগ্রহণ কোনভাবেই সম্ভব নয়। ওই চিঠি পাওয়ার পরই স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রশাসক নিয়োগ দিয়ে খুব শিগগির প্রজ্ঞাপন জারির কথা জানান। তার এ বক্তব্যের পর চসিকে বিদায়ের সুর বেজে উঠেছে। আবার নগরবাসী এবং রাজনৈতিক সচেতন মহলে চসিক পরিচালনায় কে আসছেন তা নিয়ে কৌতুহল দেখা দিয়েছে।
আ জ ম নাছির উদ্দীনের নেতৃত্বাধীন পঞ্চম পরিষদের সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয় ২০১৫ সালের ৬ আগস্ট। ওই বছরের ২৮ এপ্রিল চসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ৬ মে শপথ নেন মেয়র ও ৫৫ জন কাউন্সিলর। তবে আইনি বাধ্যকতার কারণে ওই বছরের ২৬ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্বগ্রহণ করে এ পরিষদ। প্রথম সাধারণ সভা হয় ৬ আগস্ট। ফলে মেয়র এবং নির্বাচিত কাউন্সিলরদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ৫ আগস্ট। করোনা পরিস্থিতিতে সরকার দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই মহানগরীর সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে নির্বাচিত পরিষদের মেয়াদ বাড়িয়ে দেবে এমন ধারণা ছিলো অনেকের।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন