স্টাফ রিপোর্টার : সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, সরকারি বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতি দূর করার সক্ষমতা আমাদের নেই। এই বিষয়টি আপনারাই দেখবেন। কোন কোন প্রকল্পে দুর্নীতি হতে পারে তা আমাদের জানানোর দায়িত্ব আপনাদেরই। আপনাদের উচিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলা, সোচ্চার হওয়া। তাহলেও দুর্নীতির প্রকোপ কমবে। গতকাল রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশলের ফোকাল পয়েন্টদের (বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা) সঙ্গে ‘কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২১’ নিয়ে মতবিনিময় সভায় দুদকের চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘সব অর্জনই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে দুর্নীতির কারণে। দুদকের ওপর মানুষের বিশ্বাস আছে কি নেই, আমি সেই তর্কে যাব না। তবে এটা সত্য মানুষ বিশ্বাস করতে চায় না, দুদক দুর্নীতির বিরুদ্ধে কাজ করে। আমরা সেই রকম কাজ করতে পারিনি বলে এই বিশ্বাসহীনতা। এটা স্বীকার করতে আমার লজ্জা নেই, এটাই সত্য।’ তিনি বলেন, ‘এই দায় শুধু আমাদের নয়, সমাজের সর্বস্তরের মানুষের। বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দায় বেশি।’
ইকবাল মাহমুদ নিজের অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরে বলেন, সরকারি কর্মকর্তারা ঠিক থাকলে কারও পক্ষে দুর্নীতি করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, ‘আপনি যদি ঠিক থাকেন তাহলে আপনার বড়জোর বদলি কিংবা একটু মানহানি হতে পারে। এর বাইরে কিছু করতে পারে না। এই সকল ভয় থেকেই আমরা (সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী) সমঝোতা করি, আর এই সমঝোতাটাও দুর্নীতি। শুধু ঘুষ খাওয়াই যে দুর্নীতি, এটা ঠিক নয়।’
মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন দুদক কমিশনার (তদন্ত) এ এফ এম আমিনুল ইসলাম। দুদকের আরেক কমিশনার নাসিরউদ্দীন আহমেদের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব শফিকুল ইসলাম, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মাহমুদা বেগম, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের পরিচালক রওশন আরা জামান, তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস এম মাহবুবুল আলম, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আমিনুল ইসলাম খান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মোস্তফা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব শফিক আহমেদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব শায়লা ফারজানা, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ওহাব খান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন