বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

দু’দেশের রেলপথ সংযুক্তির ভিত্তি স্থাপন শিগগিরই বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে আগরতলা-কলকাতা ট্রেন চলবে

প্রকাশের সময় : ১ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক
আগরতলা থেকে কলকাতা। ট্রেনে মাত্র ১২ ঘণ্টা। পুজোর আগেই চালু হবে বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে রেল যোগাযোগ। আগরতলায় দুই দেশের রেলপথ সংযুক্তিকরণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আশ্বাস দিলেন বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানেই গড়াল দিল্লিগামী ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেসের চাকা।
রেললাইন। একসময় সাম্রাজ্যের প্রতীক। এখন সৌভাগ্যের প্রতীক। সম্ভাবনার প্রতীক। গতকাল রেলপথে দেশের মূল ভূখ-ের সঙ্গে জুড়ে গেল ত্রিপুরা। দিল্লিগামী ত্রিপুরা সুন্দরী সাপ্তাহিক এক্সপ্রেসকে সবুজ সঙ্কেত দিলেন রেলমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকার, রাজ্যপাল তথাগত রায়, বাংলাদেশের রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক। এদিনই আগরতলা থেকে আখাউড়া রেলপথেরও শিলান্যাস হল। এই পথে রেল চালু হলে, কলকাতার আরও কাছাকাছি চলে আসবে আগরতলা।
আকাশপথে আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব ৩২৭ কিলোমিটার। রেলের ঘুরপথে ত্রিপুরা থেকে কলকাতার দূরত্ব ১৬১৩ কিলোমিটার। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে আগরতলা থেকে কলকাতার দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৫১৪ কিলোমিটার। ত্রিপুরা সুন্দরী এক্সপ্রেস এনজেপি পৌঁছতেই সময় নেয় ২৪ ঘণ্টা। বাংলাদেশের মধ্যে দিয়ে আগরতলা থেকে ১২ ঘণ্টাতেই কলকাতা পৌঁছনো সম্ভব। এই যোগাযোগ সম্পূর্ণ করতে ভারতে মাত্র সাড়ে ৫ কিলোমিটার রেলপথ তৈরি করতে হবে। রেলের ছিন্নসূত্র জুড়তে বাংলাদেশে পাততে হবে ১০ কিলোমিটারের সামান্য বেশি রেললাইন।
শুধু কলকাতাই নয়। বাংলাদেশের বহু এলাকার সঙ্গেও ত্রিপুরার যোগসূত্র সহজ করবে নতুন রেলপথ। রেলপথে আগরতলা থেকে বাংলাদেশের আশুগঞ্জ বন্দরের দূরত্ব মাত্র ৫৪ কিলোমিটার। রেলপথে আগরতলা থেকে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব মাত্র ২১৩ কিলোমিটার। সীমান্ত শিথিল করে অবাধ পরিবহনে উপকার দুই দেশেরই। চার দশক ধরে এই শিক্ষা আমাদের দিয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন। রেলের মাধ্যমে এই উপমহাদেশে সেই সুযোগ কি আমরা নিতে পারি না। আগরতলা থেকেই শুরু হোক না স্বপ্নদেখা। সূত্র : জি নিউজ

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন