খুলনার খানজাহান আলী থানাধীন মশিয়ালীতে গুলি করে তিনজনকে হত্যার ঘটনায় ২২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে নিহত সাইফুল ইসলামের পিতা সাইদুল শেখ বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। মামলায় বহিস্কৃত আওয়ামী লীগ নেতা শেখ জাকারিয়া হাসান, তার দুই ভাই শেখ জাফরিন হাসান ও শেখ মিল্টন হাসানসহ ২২ জনকে আসামী করা হয়েছে। খানজাহান আলী থানার ডিউটি অফিসার এসআই ধনঞ্জয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে তিন খুনের অন্যতম হোতা শেখ জাফরিন হাসানকে গ্রেফতার করেছে কেএমপি’র গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গতকাল শনিবার বিকাল ৫টায় যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার দাতপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।এর আগে শুক্রবার আটক হয় জাফরিন শেখের সহযোগী জাহাঙ্গীর, তাকে পুলিশ যশোরের অভয়নগরের নওয়াপাড়া থেকে আটক করে।
এর আগে গত শুক্রবার জাফরিরেন ভাই গুলিবর্ষণকারী জাকারিয়ার শশুর কোরবান আলী, শ্যালক আরমান ও চাচাতো ভাই জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে মুজিবর নামে এক ব্যক্তিকে অস্ত্রসহ খানজাহান আলী থানা আওয়ামীলীগের সহ-প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া এবং তার ভাই জাফরিন ও মিল্টন পুলিশের হাতে ধরিয়ে দেয়। এঘটনায় গ্রামের বেশ কয়েকজন জাকারিয়ার বাড়িতে এবিষয়ে জিজ্ঞেস করতে যায়। এসময় জাকারিয়ার সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে জাকারিয়া, জাফরিন কবির ও মিল্টন তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এ সময় গুলিতে নজরুল ইসলাম, গোলাম রসুল, সাইফুল ইসলাম, শামীম, রবি, সুজন, রানা ও খলিলসহ ৮-১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। গুলিবিদ্ধদের উদ্ধার করে ফুলতলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক নজরুল ইসলাম ও গোলাম রসুলকে মৃত ঘোষণা করেন। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত পৌনে ১টার দিকে সাইফুল ইসলাম মারা যায়। এ ঘটনার পর রাত ২টার দিকে ক্ষুব্ধ অপরপক্ষের গণপিটুনিতে আওয়ামীলীগ নেতা জাকারিয়ার সহযোগী জাহিদ শেখ মারা যায়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন