ঢাকার সাভারে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে কাপড়ের রং মিশিয়ে তৈরি সেমাই ও শিশু খাদ্য বাজারজাত করার অভিযোগে দুটি কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেছেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। এসময় দুই কারখানা মালিককে চার লাখ টাকা জরিমানা করে সর্তক করে দেয়া হয়েছে।
গতকাল দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাভারের গেন্ডা এলাকার অনিক ফুড সেমাই কারখানা ও কাজীমোকমাপাড়া এলাকার রেবা রানী কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান।
র্যাব ৪ জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে সাভারের গেন্ডা এলাকার অনিক ফুড সেমাই কারখানার মালিক ইমরান হোসেন প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে সেমাই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল। পরে এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিত্বে ওই সেমাই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান। এসময় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে কাপড়ের রঙ মিশিয়ে সেমাই তৈরির অভিযোগে কারখানাটির মালিক ইমরান হোসেনকে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কারখানাটি থেকে চারশ’ লিটার পোড়া তেল, বেশ কয়েক কেজি সেমাই, ডালডাসহ নানা উপকরণ জব্দ করে সর্তক করে দেয়া হয়।
অন্যদিকে কাজীমোকমাপাড়া এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে নিমকি, চানাচুর, ডাল ভাজাসহ বিভিন্ন শিশু খাদ্য তৈরি করে বাজারজাত করে আসছিল রেবা রানী কারখানার মালিক দুলাল সাহা। পরে ওই কারখানায়ও অভিযান পরিচালনা করে কারখানা মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করে সর্তক করে দেয়া হয়েছে।
র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনিসুর রহমান বলেন, নোংরা পরিবেশে খাবার তৈরি করলে কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। অভিযানে এসময় র্যাব-৪ এর সিনিয়র এএসপি উনু মংসহ র্যাবের অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন