স্টাফ রিপোর্টার : গুলশান হামলার মতো বিশেষ পরিস্থিতিতে জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের যোগাযোগের পথ বন্ধে ইন্টারনেট সেবা তাৎক্ষণিক বন্ধ করে দেয়ার মহড়া করেছে ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থার (বিটিআরসি) নির্দেশনা অনুযায়ী গতকাল (সোমবার) বিকেল থেকে মধ্য রাতের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য এই মহড়া হয়। টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, সোমবার বিকাল থেকে মধ্যরাত অবধি ঢাকার কোনো কোনো এলাকা এ মহড়ার আওতায় আসবে। তবে এলাকার নাম তিনি আগে থেকে বলতে চাননি। মোবাইল ইন্টারনেট থেকে শুরু করে তারযুক্ত ইন্টারনেটসহ (ফিক্সড ব্রডব্র্যান্ড) সব ধরনের ইন্টারনেট সেবা এই মহড়ার অন্তর্ভুক্ত জানিয়ে বিটিআরসি’র চেয়ারম্যান বলেন, এই মহড়া ১৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত। যে সব এলাকার ইন্টারনেট বন্ধ থাকবে সেসব এলাকার গ্রাহকদের আগে থেকে জানানো হবে কিনা বা এভাবে সেবা বন্ধ রাখলে গ্রাহক স্বার্থ লঙ্ঘিত হবে কিনাÑ এমন প্রশ্নে শাহজাহান মাহমুদ বলেন, আগে থেকে জানানো সম্ভব হচ্ছে না, বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র কিছু সমস্যা তো মেনে নিতেই হবে। গত ১ জুলাই রাতে একদল অস্ত্রধারী তরুণ গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালালে দেশি-বিদেশি অতিথিরা ভেতরে আটক পড়েন। জিম্মি সঙ্কটের মধ্যে জঙ্গিদের ঠেকাতে গিয়ে বোমায় নিহত হন দুই পুলিশ কর্মকর্তা।
ওই পরিস্থিতিতে জঙ্গিদের যোগাযোগের পথ বন্ধ করতে গুলশান ২ নম্বর সেকশনের ৭৯ নম্বর সড়ক ও আশপাশের ব্রডব্যান্ড সংযোগ বন্ধ করে দেয়া হলেও মোবাইল ইন্টারনেট চালু থাকে। পরদিন ভোরে কমান্ডো অভিযান চালিয়ে সশস্ত্র বাহিনী ওই ক্যাফের নিয়ন্ত্রণ নেয়। অবশ্য তার আগেই ১৭ বিদেশিসহ ২০ জনকে হত্যা করে জঙ্গিরা। গভীর রাতেই তারা রক্তাক্ত লাশের ছবি ইন্টারনেটে তুলে দেয়, যা আইএস-এর বরাত দিয়ে প্রকাশ করে সাইট ইন্টেলিজেন্স গ্রুপ। সেই রাতে ক্যাফের জঙ্গিরা বিশেষ একটি অ্যাপ ব্যবহার করে বাইরে যোগাযোগ করেছিল বলে পরে গণমাধ্যমে খবর আসে। কিন্তু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীও মোবাইল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করায় সে সময় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয়নি। মোবাইল যোগাযোগ ঠিক রেখে ডেটা ট্রান্সফার বন্ধ রাখা সম্ভব কিনাÑ এ নিয়ে পরে বিভিন্ন মহলে আলোচনা হয়। এ প্রেক্ষাপটেই বিটিআরসি মহড়া করার উদ্যোগ নিল।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন