৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
মুহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান, টেকনাফ : কক্সবাজারের টেকনাফ বাহারছড়ায় গোপন বৈঠককালে আটক আরএসও নেতা ছালাহুলসহ ৩ জনকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তর করলে পুলিশ তাদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা টেকনাফ মডেল থানার ওসি তদন্ত কবির হোসেন জানান, কক্সবাজার আমলী আদালত-৩ এর বিচারক তৌহিদুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে তাদের প্রত্যেককে ১০দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হলে তাদেরকে ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। গত রোববার দিবাগত রাত পৌনে ১২টার দিকে ২ বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়নের হাবিলদার বাবুল মিয়া বাদী হয়ে ৩ জন আটক ও ৮ জনকে পলাতক আসামি করে ১১ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা রুজু করেন।
আটককৃতরা হলেন, রোহিঙ্গা সলিডারিটি অরগানাইজেশনের (আরএসও) নেতা হাফেজ ছালাউল ইসলাম, মৌলভী সৈয়দ করিম ও টাঙ্গাইলের মৌলভী ইব্রাহীম।
এর আগে, গত শনিবার দুপুরে টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়ার শামলাপুরের নতুন পাড়ায় মৌলভী সৈয়দ করিমের বাড়িতে যৌথ টাস্কফোর্স অভিযান চালিয়ে সউদী নাগরিক আবু সালে আহমেদ আল গাম্বী, আরএসও নেতা হাফেজ ছালাউল ইসলাম, বাড়ির মালিক মৌলভী সৈয়দ করিম ও টাঙ্গাইলের মৌলভী ইব্রাহীমকে আটক করে বিজিবি ব্যাটলিয়ন সদরে নিয়ে আসা হয়।
সূত্র জানায়, উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া এলাকায় দেশি-বিদেশি নাগরিকদের নিয়ে এক গোপন বৈঠক চলছিল। তবে অনুমতিবিহীন এই বৈঠকের খবর পেয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সেখানে হানা দিয়ে সউদী নাগরিকসহ ৪ জনকে আটক করতে সক্ষম হয়। এ সময় বিদেশি নাগরিকসহ আরও কয়েকজন পালিয়ে যায়। পরে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রোববার গভীর রাতে আরএসও নেতা সালাহুলসহ ৩ জনকে টেকনাফ মডেল থানায় সোর্পদ করা হয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, রোববার রাতে আরএসও নেতা ছালাহুলসহ ৩ জনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এতে আটক ও পলাতকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। এ মামলায় আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং পলাতক আসামিদের আটক করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
তিনি আরো জানান, গতকাল সোমবার সকালে তাদের ৩ জনকে আদালতে সোর্পদ করা হলে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৭দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন