স্টাফ রিপোর্টার : জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেছেন, রামপাল অবতার রামের জন্মভূমি অযোধ্যা নয়- এটা বাংলাদেশের রামপাল। রক্তে কেনা বাংলাদেশের রামপালে দিল্লির ইশারায় সুন্দরবন বিনাশী বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চক্রান্ত এখনই রুখে দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিরুদ্ধে নয়।
তবে এত জায়গা থাকতে সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে বিদ্যুৎ প্রকল্প হতে হবে কেন? সুন্দরবন বিনাশী রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবিতে গতকাল সোমবার বিকালে আসাদ গেট জিইউপি মিলনায়তনে জাগপা আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
শফিউল আলম প্রধান বলেন, ভাবতে অবাক লাগে যে, হাত দিয়ে শেখ হাসিনা চ্যাম্পিয়ন অব দ্যা আর্থ পুরস্কার নিয়েছেন, সেই হাত এখন সুন্দরবনের হৃৎপি- চেপে ধরেছে। দেশবাসীর জিজ্ঞাসা, দখলদার সরকারের পেয়ারে হিন্দুস্থান চাচ্ছেটা কি? ফারাক্কাসহ বাঁধের পর বাঁধ দিয়ে নদীমাতৃক বাংলাদেশকে মরুভূমিতে পরিণত করা হচ্ছে। ট্রানজিট-করিডরের নামে তাদের যুদ্ধকে আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হলো। ফেনসিডিল ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে আমাদের তরুণদের ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। সীমান্তে প্রতিদিন আমার দেশের মানুষ হত্যা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, পাটের রাজা বাংলাদেশ এখন পাটশূন্য। জঙ্গি হামলার নামে এখন গার্মেন্টস সেক্টর, পর্যটন ও শিক্ষাকে আক্রমণের টার্গেট করা হচ্ছে। দেশবাসীর জিজ্ঞাসা এতে লাভবান হবে কারা? পিলখানায় সীমান্ত প্রতিরক্ষা-সৈনিক হত্যার রহস্য আজো দেশবাসী জানতে পারে নাই। গুলশান-শোলাকিয়ায় জঙ্গি অপারেশনের পর পরিকল্পনাকারীরা ভারতে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যায় কেন? দেশবাসী তা জানতে চায়।
তিনি বলেন, তাবৎ দুনিয়ার যা হাল অবস্থা তাতে বাংলাদেশকে বলির পাঠা বানানো হতে পারে। দেশবাসী হুঁশিয়ার থাকবেন। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধের দাবিতে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ রক্ষা কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচিতে পুলিশি হামলার তীব্র নিন্দা করে বলেছেন, হামলা-মামলা চালিয়ে দেশপ্রেমিক জনগণের গণজাগরণকে রোখা যাবে না।
জাগপার যুগ্ম সম্পাদক এ্যাড. মজিবুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন জাগপার সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, সহ-সভাপতি খন্দকার আবিদুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক আসাদুর রহমান খান, সৈয়দ শফিকুল ইসলাম, যুব জাগপার সভাপতি ফাইজুর রহমান প্রমুখ।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন