মানিকগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা : ‘যদি কোনো সরকারি কর্মকর্তা কিংবা জনপ্রতিনিধি এই দুর্যোগ মোকাবিলায় জনগণের পাশে না দাঁড়ায় এবং ত্রাণ নিয়ে কোনো রকম তালবাহানা করে তবে তাকে জবাবদিহি করতে হবে এবং শাস্তি পেতে হবে। দুর্যোগ কীভাবে মোকাবিলা করতে হয় বাংলার মানুষ তা জানে। আমাদের খাদ্যের কোনো আভাব নেই। আমাদের শুধু ধৈর্যসহ সবাইকে সাথে নিয়ে এই দুর্যোগ মোকাবিলা করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত এই বন্যার্ত মানুষ ঘরে ফিরে না যাবে আমরা ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা তাদের দু’বেলা খাওয়া এবং থাকার ব্যবস্থা করব। বন্যার আগে মানুষ যে অবস্থায় ছিল বন্যার পরে তাদের সেই অবস্থায় পুনর্বাসন করা হবে।’ তিনি গতকাল সোমবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ বাজারে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রানসামগ্রী বিতরণের এ কথাগুলো বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এ এম নাঈমূর রহমান দুর্জয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব শাহ্ কামাল, অতিরিক্ত সচিব সাজ্জাদ কবীর, মহাপরিচালক রিয়াদ আহমেদ, জেলা প্রশাসক রাশিদা ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাকির হাসান, শিবালয় উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. রেজাউর রহমান খান জানু, সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল কুদ্দুস, শিবালয় উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মো. আলী আহসান মিঠু।
তিনি আরো বলেন শোকের মাসে আমরা বন্যার্ত মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। দেশের ১৬টি জেলায় বন্যা হয়েছে। ১৩ হাজার মেট্রিক টন ত্রাণ সমগ্রী পাঠানো হয়েছে এবং সাড়ে ৬ কোটি টাকা ইতিমধ্যেই বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে মানিকগঞ্জের ৩টি উপজেলার ৩৬টি ইউনিয়নের বন্যার্ত মানুষের সহায়তার জন্য ২শ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ২০ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ সময় মন্ত্রী ২৫০ জন বন্যার্ত মানুষের মাঝে চাল, ডাল, চিনি, চিড়া ও আলু বিতরণ করেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন