স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশে থাকা জাপানের দূতাবাস ও জাইকাসহ সব কার্যালয়ের নিরাপত্তা জোরদারের জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে পুলিশকে। পাশাপাশি কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা বাড়ানোর নির্দেশও দেয়া হয়েছে। এর আগে গত রোববার অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছিল জাপান দূতাবাসের পক্ষ থেকে।
সূত্র জানিয়েছে, জাইকার অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্প এলাকায় কর্মরত জাপানী নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে বলেছিল সরকারকে। এ নিয়ে জাইকার পক্ষ থেকে গত রবিবার অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েক কর্মকর্তার সঙ্গে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে প্রকল্প এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েনের দাবি করে তারা।
এর পরেই গতকাল সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পুলিশ সদর দফতরকে জাইকার সকল অফিসের নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেয়া হয়। সূত্র জানিয়েছে, গুলশান হামলায় নিহতদের ব্যাপারে তদন্তের অগ্রগতি জানতে ও বাংলাদেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা সরেজমিনে জানতে আগামী ৬ আগস্ট বাংলাদেশে আসছেন জাইকার প্রেসিডেন্ট শিনিচি কিতাওকা। তাঁর ও তার সফরসঙ্গীদের সার্বক্ষণিক নিরাপত্তার জন্য সশস্ত্র পুলিশের নিরাপত্তা দেয়া হবে বলে জানা গেছে। সফরকালে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন। এসব আলোচনার মধ্যেও শীর্ষে থাকবে নিরাপত্তার বিষয়টি। বাংলাদেশে অবস্থানরত জাইকার কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন সংগঠনটির প্রেসিডেন্ট। এছাড়াও জাপানী নাগরিকদের আগামী ১৫ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের ব্যাপারে বলা হয়েছে দেশটির পক্ষ থেকে। এজন্য অনেক জাপানী নাগরিক এখনো প্রকল্পের কাজে যোগ দেয়নি।
জাপান দূতাবাস বাংলাদেশকে অনুরোধ জানিয়েছে, বাংলাদেশ যেন জাপানের ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যালয় ও কারখানায় যেসব বেসরকারি নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেবে, তাদের যেন অস্ত্র বহনের অনুমতি দেয়া হয়।
এছাড়া গুলশান ও শোলাকিয়ায় হামলার পর বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকল্পে কর্মরত বিদেশিরা নিরাপত্তা চেয়ে সরকারের কাছে চিঠি দিচ্ছেন। দেশগুলোর রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনারসহ প্রতিনিধিরা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রীদের সঙ্গে দেখা করে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুরোধ জানাচ্ছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নও (ইইউ) সারা দেশে অবস্থানরত বিদেশীদের নিরাপত্তা চেয়েছে। গত রোববার সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ-ইইউ বিজনেস কাউন্সিলের ‘বাংলাদেশ ব্যবসায় পরিবেশ সংলাপ’ শেষে ইইউ রাষ্ট্রদূত পিয়েরে মায়াদু এ নিরাপত্তার দাবি জানান।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন