বিশ্বব্যাপী করোনা প্রতিরোধে বিশ্বে এখন প্রায় ১৪০ রকমের টিকা নিয়ে কাজ চলছে। তার মধ্যে ১৪টি টিকা পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হচ্ছে মানুষের শরীরে। এই দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রজেনেকা, যুক্তরাষ্ট্রের মোডার্না বায়োটেক, চীনের সিনোভ্যাক ফার্মাসিউটিক্যাল। গতকাল বুধবার জেনেভায় সংবাদ সম্মেলনে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ইমার্জেন্সি প্রোগ্রামের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইক রায়ান বলেন, করোনাভাইরাস প্রতিরোধের টিকা উদ্ভাবনে গবেষকরা ‘ভালো অগ্রগতি’ অর্জন করেছেন। তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চলছে কয়েকটি টিকার। সেই ট্রায়ালের রিপোর্টও ভালোর দিকে। তবে তিন পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ করে প্রথম টিকা আসতে আরও কিছু সময় লাগবে। ২০২১ সালের আগে সেটা সম্ভব নয়।' খবর আল জাজিরার।
মাইক রায়ান বলেন, টিকা শুধু ধনীদের জন্য নয়। টিকা বিতরণ করা হবে সামঞ্জস্য রেখে এবং সংহতিপূর্ণভাবে। পিছিয়ে পড়া দেশগুলোতে টিকা পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
কিন্তু ২০২১ সাল না আসা পর্যন্ত টিকার প্রথম ব্যবহার হবে, এমনটি আশা করা যাচ্ছে না। বুধবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক বিশেষজ্ঞ এমন খবর দিয়েছেন।
টিকার ন্যায্য বিতরণ নিশ্চিত করতে কাজ করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু এসবের মধ্যে ভাইরাসের নিয়ন্ত্রণকেই সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
ডব্লিউএইচওর জরুরি কর্মসূচিবিষয়ক প্রধান মাইক রায়ান বলেন, বিশ্বে করোনা আক্রান্তের দৈনিক সংখ্যা রেকর্ড পর্যায়ে বাড়ছে। আমাদের ভালো অগ্রগতি হয়েছে। ‘বেশ কয়েকটি টিকার পরীক্ষা তৃতীয় পর্যায়ে আছে, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উৎপাদনে সক্ষমতা ও নিরাপত্তার দিক থেকে এ যাবত কোনোটি ব্যর্থ হয়নি।’
সামাজিকমাধ্যমে হওয়া এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মানুষের শরীরে টিকা প্রয়োগ হচ্ছে, তা দেখার আগে আগামী বছরের প্রথম অংশে তা বাস্তবিকভাবে কার্যকর হতে যাচ্ছে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন