শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

এমাজউদ্দীন ছিলেন বিরলপ্রজ মানুষ

স্মরণসভায় বক্তারা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৬ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোষহীন ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন দেশের বিশিষ্ট নাগরিক ও বিএনপি নেতারা। তারা বলছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ভিসি কখনও নিরপেক্ষতার ভান ধরেননি। তিনি উদার-আধুনিক রাষ্ট্র গঠনের স্বপ্ন দেখেছেন আজীবন। সমাজের বিভক্তি দূর করতে না পারলে বাংলাদেশ রাষ্ট্র নানাদিক থেকে সমস্যায় পড়বে মনে করতেন বলেই তিনি এই দেশের নাগরিক বিভক্তি দূর করার স্বপ্ন দেখেছিলেন। গতকাল শুক্রবার বিএনপির পক্ষ থেকে আয়োজিত ‘উপমহাদেশের প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও দেশবরেণ্য বুদ্ধিজীবী এমাজউদ্দীন আহমদের’ স্মরণসভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। গত ১৭ জুলাই অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ ইন্তেকাল করেন।
এমাজউদ্দীন আহমদের সঙ্গে ১৯৪৮ সালে কলকাতা থেকে মেট্রিকুলেশন পাস করেন সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার। এরপর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে জমির উদ্দিন সরকার আইন ও হিস্ট্রি নিয়ে পড়েন এবং এমাজউদ্দীন আহমদ পড়েন রাষ্ট্রবিজ্ঞানে। স্মরণসভায় সেই স্মৃতিচারণ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ উপমহাদেশের খ্যাতনামা রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। তিনি দ্বিমত পোষণ করলেও সহনশীলতার সঙ্গে করতেন। কোনো সময় তাকে রাগ করতে দেখেনি। গণতন্ত্র, রুল অব ল’ সার্ক ইত্যাদি বিষয়ে তার অবস্থান ছিল খুবই দৃশ্যমান। সবাইকে সমানচোখে দেখতেন তিনি।
অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন বিরলপ্রজ মানুষদের একজন ছিলেন। তিনি একজন মৃতুঞ্জয়ী মানুষ।
অধ্যাপক ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, সমাজ ও ধর্ম নিয়ে কাজ করেছেন এমাজউদ্দীন আহমদ। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে, তাও তার দখলে ছিল। বিশদভাবে দেশের সমাজ ও রাজনীতিকে বিশ্লেষণ করেছেন। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ জাতীয় অভিভাবক ছিলেন। যারা স্বাধীনতা, গণতন্ত্রে বিশ্বাস করেন, তাদের কাছে তার মৃত্যু অনেক দুঃখের। তার কর্মজীবন ও শিক্ষাজীবন অনেক সাফল্যে পরিপূর্ণ। গণতন্ত্রের জন্য যারা সংগ্রাম করছেন, তাদের কাছে তিনি অনুপ্রেরণাদায়ক।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, দশকের পর দশক ধরে একসঙ্গে কথা বলেছি। আজকে তার অনুপস্থিতি আমাদের ভারাক্রান্ত করে তুলেছে। তার বিরুদ্ধেও দেশদ্রোহিতার অভিযোগ এসেছিল, আজকে আমরা কোন দেশে বাস করছি।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (1)
আবদুলহাই ২৫ জুলাই, ২০২০, ৭:৩০ এএম says : 0
ঠিক আছে
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন