চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের বোয়ালখালী অংশে আবারো ধস
এম এস এমরান কাদেরী, বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) থেকে : চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার একসময়কার গুরুত্বপূর্ণ ও ব্যস্ততম চট্টগ্রাম-কক্সবাজার আরাকান সড়কটির বোয়ালখালী অংশে ধসে যাওয়ায় বিভিন্ন স্থানে সড়ক ও জনপদ বিভাগ নামকাওয়াস্তে সংস্কার কাজ করলেও কয়েক মাসের ব্যবধানে আবারো ধসে পড়েছে সড়কের বিভিন্ন জায়গা। রায়খালী খালের অব্যাহত ভাঙনের কবলে ধসে পড়া আপেল আহমদ টেক এলাকায়ও মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। ফলে আরাকান ও স্বাধীনতা যুদ্ধের সময়ে ব্যবহৃত জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কটি সওজের অব্যাহত অবহেলায় যে কোন মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনাসহ যান চলাচল বন্ধের আশংকা দেখা দিয়েছে। রাস্তার ধসে পড়ার অংশে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া না হলে যে কোন সময় দুর্ভোগে পড়তে হবে এখানকার প্রায় ১০ লাখ মানুষের।
সরেজমিনে দেখা যায়, আরাকান সড়কের বোয়ালখালী অংশে দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে কোন ধরনের সংস্কার কাজ না করায় প্রায় ৩/৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এসব গর্তে আটকে যাচ্ছে চলন্ত গাড়ি, বেশ কিছু অংশ ফেটে একেবারে চৌচির। গত কয়েক মাস পূর্বে সওজের পক্ষে আপেল আহমদ টেকসহ কিছু কিছু জায়গায় লোক দেখানো সংস্কার কাজ করলেও চলতি বর্ষার বৃষ্টি শুরু হতেই সড়কের বিভিন্ন অংশে ভাঙ্গন ধরা সহ ধসে পড়েছে বেশ কিছু জায়গায়। এর মধ্যে আফেল আহমদের টেক এলাকার মূল সড়কের প্রায় কিয়দাংশ খালের মধ্যে ধসে পড়ায় মারাত্তক ঝঁকিপূণ হয়ে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থায়। এ সড়কের বোয়ালখালী অংশের শাকপুরা, গোমদন্ডী ফুলতলীসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় খালের ভাঙন প্রবল হওয়ার উপক্রম হয়েছে ইতোমধ্যে। ভাঙ্গন ও ধসকবলিত এসব অংশে কোন ধরনের শক্ত মেরামতের উদ্যোগ না থাকায় ক্রমশ বাড়ছে এর ভয়াবহতা-বাড়ছে যানজট, সেইসাথে বাড়ছে দুর্ঘটনা। প্রতিনিয়ত সৃষ্টি হচ্ছে চলাচলকারী জনমানুষের দুর্ভোগ। সব মিলিয়ে যে কোন সময় ইতিহাসের সাক্ষী আরাকান সড়কের যান চলাচল বন্ধসহ এখানকার হাজার হাজার মানুষ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার আশংকা করছেন এরাকাবাসী।
বোয়ালখালী পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আমীর হোসেন বলেন, সড়ক তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত সংশ্লিষ্ট বিভাগ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়কের বোয়ালখালী অংশটি নিয়ে বিমাতাসুলভ আচরণ শুরু করেছে। এক দশকের কাছাকাছি সময়েও এখানে কোন ধরণের সংস্কার কাজ করেনি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বর্তমান সরকার উন্নয়ন কাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখলেও সংশ্লিষ্ট দফতরের কর্তাব্যক্তিরা ঠকবাজি কাজ করে মোটা অংকের টাকা তাদের পকেটে নিচ্ছে।
এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল মিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে জানান, বিষয়টা আমাদের নজরে এসেছে। আপদকালীন বরাদ্দ দিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে যেহেতু এটার জন্য বড় প্রকল্পের প্রয়োজন তাই উপযুক্ত বরাদ্দ চেয়ে উপরে প্রস্তাব পাঠানো হবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন