রোববার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১০ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

আন্তর্জাতিক সংবাদ

চীনের করোনা টিকার ট্রায়াল চায় বিশেষজ্ঞরা

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ জুলাই, ২০২০, ১২:০১ এএম

কোন রহস্যের কারণে চীনের সিনোভেক কোম্পানির করোনার টিকার বাংলাদেশে পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (ট্রায়াল) অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে তানিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন দেশের চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা। এ নিয়ে প্রথম প্রশ্ন উত্থাপন করেন গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গতকাল একই প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের পরিচালক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। তিনি বলেছেন, চীনা টিকার ট্রায়াল নিয়ে জটিলতা অগ্রহণযোগ্য। সমন্বয়হীনতার কারণে চীনের সিনোভেক কোম্পানির করোনার টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ (ট্রায়াল) অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশ চিকিৎসা গবেষণা পরিষদ (বিএমআরসি) নৈতিক অনুমোদন দিলেও মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলিতে পরিস্থিতি জটিল হয়ে উঠেছে।

চীনা টিকা নিয়ে এমন জটিল পরিস্থিতি সৃষ্টি করা অগ্রহণযোগ্য অবিহিত করে ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, বিএমআরসির অনুমোদনের পর মন্ত্রণালয়ের জটিলতা সৃষ্টি করা সম্প‚র্ণ অবৈজ্ঞানিক। চীনের করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এ ভ্যাকসিন নিয়ে বিখ্যাত মেডিক্যাল জার্নাল ‘দি ল্যানসেট’ পত্রিকায় স্টাডি প্রকাশ করা হয়েছে। যেমন প্রকাশ হয়েছে অক্সফোর্ডের তৈরি করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিনের স্টাডি বিষয়ে। চীনের এই করোনা ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের বৃহৎ পরিসরে বাংলাদেশে ট্রায়াল করার কথা। এই ভ্যাকসিনের টেকনিক্যাল বিষয়গুলো দেখাশোনা করছে আমাদের দেশের স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উদারাময় রোগ গবেষণা কেন্দ্র বাংলাদেশ (আইসিডিডিআরবি)। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের চীনের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য নৈতিক অনুমোদন দিয়েছে বিএমআরসি। বিএমআরসি বাংলাদেশের মানুষের ভালো মন্দ সবকিছু বিবেচনা করেই তারা নৈতিক অনুমোদন দিয়েছে। কিন্তু কী কারণে এটা নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি করা হচ্ছে তা আমাদের অজানা।

ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশে এই টিকার তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল হতো। সফল হলে বাংলাদেশ চীনের কোম্পানির কাছে কম দামে অথবা বিনামূল্যে এই টিকা পেতে পারতো। চীনও বলেছিল বাংলাদেশকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়া হবে। এর চেয়ে ভালো মানের ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হলে আমরা সেটিও গ্রহণ করতে পারতাম। চীনের কাছ থেকে এই ভ্যাকসিন নিতেই হবে বিষয়টা এমন নয়। তবে ট্রায়াল করলে সেই সম্ভাবনার জায়গাটা তৈরি হতো। কিন্তু সচিব কেন তা নষ্ট করে দিলেন সেটা বোধগম্য নয়। তিনি বলেন, করোনার টিকা উদ্ভাবনের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে আছে যুক্তরাজ্য, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। চীনের যে টিকা বাংলাদেশে ট্রায়ালের কথা বলা হচ্ছে, তা দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় সফল হয়েছে। এই টিকা বিশ্বজুডে প্রতিযোগিতার প্রথম সারিতে থাকা তিনটির একটি। টিকার নাম করোনাভেক। চীনের কোম্পানি সিনোভেক এই টিকা উদ্ভাবনের চেষ্টা করছে। ##

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (3)
মারুফ ২৭ জুলাই, ২০২০, ৭:১৮ এএম says : 0
চীনা টীকা পরীক্ষা করলে অবশেষে টীকা কম দামে পাওয়া যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সিন্ডিকেট লাভ হতে বঞ্চিত হবে।
Total Reply(0)
নিসারুল ইসলাম ২৭ জুলাই, ২০২০, ৭:৩৮ এএম says : 0
ডা: লেলিন এখানে অবৈজ্ঞানিক কি দেখলেন ? গনস্বাস্থ্যের কীট অনুমোদন পেলে চড়া দামে চীনের টেষ্ট কীট কেনা যেতোনা । ঠিক তেমনি এই ভ্যাকসিন সফল হলে ভারতীয় ভ্যাকসিন চড়া দামে কেনা যাবেনা । হিসাব অতি সহজ । ডাক্তারদের চরিত্র হনন করে সচিব সাহেবদেরকে ধোয়া তুলসীপাতা হিসেবে দেখানো হবে ।
Total Reply(0)
Tanzil Ahmed ২৭ জুলাই, ২০২০, ৯:৪৫ এএম says : 0
আমাদের জনগনের কথা মাথায় রেখে কাজ করার অনুরোধ জানাচ্ছি বাংলাদেশ সরকারকে।
Total Reply(0)

এ সংক্রান্ত আরও খবর

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন