শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

জাতীয় সংবাদ

শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন দুদক চেয়ারম্যান

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৫১ পিএম, ২ আগস্ট, ২০১৬

স্টাফ রিপোর্টার : দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা সম্পর্কে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেছেন, শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন, কারণ, দুুর্নীতি এমন পর্যায়ে পৌঁছে গেছে যা দেশের ভবিষ্যৎকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে জাতিকে বাঁচাতে হলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত প্রায় ৮৫ লক্ষ ছাত্র-ছাত্রীকে টার্গেট করে কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। তাই দুদক পাঁচ বছর মেয়াদি কর্মপরিকল্পনায় শিক্ষার বিষয়টি সম্পৃক্ত করেছে। গতকাল সকালে দুর্নীতি দমন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে দেশের সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে দুর্নীতি দমন কমিশনের ‘‘খসড়া কৌশলগত কর্মপরিকল্পনা ২০১৬-২০২১’’ এর ওপর এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, শিক্ষার প্রসঙ্গ এলেই অবকাঠামো, শ্রেণিকক্ষ, ভবন, শিক্ষা উপকরণ ইত্যাদি নিয়েই কেবল আলোচনা হয়। আসলে আমাদের সম্মানিত শিক্ষকবৃন্দ ছাত্র-ছাত্রীদের শ্রেণিকক্ষে কী পড়াচ্ছেন বা কী শেখাচ্ছেন সে বিষয় নিয়ে আলোচনা নেই বললেই চলে। শুধু জিপিএ-৫ পাওয়ার আশায় অনেকে বলেন যে, আমরা আলোকিত মানুষ সৃষ্টি না করে পুলকিত মানুষ সৃষ্টি করছি। তাই শিক্ষাকেই অধিকতর গুরুত্ব দিতে হবে।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, প্রক্রিয়াগত কারণেই কমিশন দায়িত্ব পালনে সম্পূর্ণভাবে সক্ষমতা প্রদর্শন করতে পারছে না। প্রক্রিয়ায় সমস্যা থাকায় কমিশনের প্রতি মানুষের কাক্সিক্ষত মাত্রার আস্থা নেই। এ কারণেই কমিশন এই কর্মপরিকল্পনা নিয়ে সমাজের সকল স্তরের ব্যক্তিবর্গের সংগে মতবিনিময় করছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম প্রসঙ্গে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এই প্রতিষ্ঠানও কোনো কোনো ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কারণেই আইন মেনে চলে না। তাই আমরা প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, পদ্ধতিগত উন্নয়ন এবং আইনি কাঠামোর মধ্যে থেকে দায়িত্ব পালনের বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার চেষ্টা করছি।
বিদ্যমান সরকারি কর্মকা-ে প্রচলিত ক্ষমতার অধিক্ষেত্র অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতির কারণ হিসেবে অবহিত করে তিনি বলেন, সরকারি কর্মকা-ে প্রচলিত ক্ষমতার অধিক্ষেত্র কমিয়ে আনা উচিত। এক্ষেত্রে কমিশন কর্মপদ্ধতি পুনর্গঠন-এর কাজ করছে। দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে তিনি বলেন, বড় বড় রুই-কাতলাদের ধরা হচ্ছে না বলা হয়। আসলে এ বিষয়ে দেশে প্রচলিত আইন ও পদ্ধতি সকলের বিবেচনায় রাখতে হবে। আমি শুধু বলতে পারি, নিরাশ হওয়ার কিছু নেই, দিনের শেষে সত্যের জয় নিশ্চিত। বিলম্বে হলেও দুর্নীতিগ্রস্তরা অবশ্যই শাস্তি পাবে। সবাইকেই জবাবদিহিতার আওতায় আসতে হবে। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের মঙ্গলের জন্যই দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরতে হবে।
এ মতবিনিময় সভায় কমিশনের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য রাখেন কমিশনের কমিশনার এ এফ এম আমিনুল ইসলাম, আলোচনা অনুষ্ঠান মডারেট করেন কমিশনার ড. নাসিরউদ্দীন আহমেদ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন দুদকের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রহমান, সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার মোহাম্মদ জমির, সাবেক মন্ত্রী ড. মিজানুর রহমান শেলী, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, সুশাসনের জন্য নাগরিক-এর ড. বদিউল আলম মজুমদার, এমআরডিআই-এর প্রধান হাসিবুর রহমান মুকুর, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা রাশেদা কে চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ, সিপিডি’র ফাতেমা ইউসুফ প্রমুখ।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন