শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৯ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীকে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা করে পুরস্কার

প্রকাশের সময় : ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:০০ এএম | আপডেট : ১১:৪৯ পিএম, ২ আগস্ট, ২০১৬

এরাই গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার পরিকল্পনাকারী : আইজিপি
স্টাফ রিপোর্টার : সেনাবাহিনী থেকে বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক ও তামিম চৌধুরীকে গুলশান এবং শোলাকিয়ায় জঙ্গি হামলার মূল পরিকল্পনাকারী। তাদের ধরিয়ে দিলে বা তাদের অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দিলে ২০ লাখ টাকা করে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার দেয়া হবে। পুলিশের মহাপরিদর্শক এ কে এম শহীদুল হক গতকাল এ ঘোষণা দেন।
গতকাল দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, মেজর জিয়া আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের শীর্ষ নেতা। আর তামিম চৌধুরী নিউ জেএমবি’র নেতা। তাদের মাস্টারমাইন্ডেই দুইটি জঙ্গি হামলা হয়েছে।
আইজিপি বলেন, গুলশান ও শোলাকিয়া হামলার তদন্ত করতে গিয়ে তারা অনেক তথ্য পেয়েছেন। শেওড়াপাড়া, কল্যাণপুর ও মিরপুর এলাকায় আরেকটি গ্রুপ হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে-এ তথ্য পেয়েই তারা ওইসব এলাকায় অভিযান শুরু করে। অভিযানের এক পর্যায়ে কল্যাণপুরে যখন এই আস্তানার খবর পাওয়া যায় তখন তাদেরকে আত্মসমর্পণ করা সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তারা সেটা গ্রহণ না করে যুদ্ধ করে পুলিশকে হত্যা করার ঘোষণা দেয়। এরপর পুলিশ সেখানে সফলভাবে অভিযান পরিচালনা করে। এ অভিযানে ৯ জঙ্গি নিহত, একজন গ্রেফতার এবং একজন পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, সাবেক (মূল) জেএমবি গুলশান ও শোলাকিয়ার হামলায় জড়িত ছিল না। মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে জেএমবির একটি নতুন ভার্সন এই হামলা চালিয়েছে। তারাই এই হামলার মাস্টার মাইন্ড। এ হামলাগুলো ওই দুজনের নির্দেশনায় হয়েছে।
মেজর জিয়া ও তামিম চৌধুরীর অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে, আইজিপি বলেন, তারা দুজন কোথায় আছেন সে বিষয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট কোনও তথ্য নেই। সেজন্যই তাদের তথ্য পেতে জনগণের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে। প্রত্যেকের বিষয়ে তথ্য দিলে বা ধরিয়ে দিতে পারলে ২০ লাখ করে মোট ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে। তথ্যদাতার পরিচয়ও গোপন রাখা হবে।
জঙ্গি হামলার সঙ্গে হিজবুত তাহরীর-এর সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘নাশকতার সঙ্গে হিজবুত তাহরীরের সরাসরি জড়িত থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে জামায়াত শিবিরের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
পুলিশ সদর দফতরে সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন র‌্যাবের ডিজি বেনজীর আহমেদ, ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া, বিশেষ শাখার (এসবি) প্রধান ড. জাবের পাটোয়ারীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, মেজর (বহিষ্কৃত) সৈয়দ মো. জিয়াউল হক ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সেনা অভ্যুত্থানের প্ররোচনা চালিয়ে ব্যর্থ হন। এরপর থেকেই তিনি পলাতক আছেন। তাকে সেনাবাহিনী থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়।
সূত্র জানায়, মেজর জিয়া আগে থেকেই উগ্রগোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানী গ্রেফতার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে বলেছেন, ধরা পড়ার আগে তিনি একাধিকবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেজর জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের ধারণা, জিয়া এই জঙ্গিগোষ্ঠীর সামরিক শাখার দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০১৫ সালে সবচেয়ে বেশি ব্লগার হত্যা ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব হামলা এত বেশি নিখুঁতভাবে হয় যে ঘাতকদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কর্মকর্তাদের ধারণা, নতুন নেতৃত্ব আসার পর আনসারুল্লাহ ‘আনসার আল ইসলাম’ নাম ধারণ করেছে।

 

 

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (2)
Zahir ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:৪৫ পিএম says : 0
valo uddog
Total Reply(0)
Zahir ৩ আগস্ট, ২০১৬, ১২:৪৬ পিএম says : 0
valo uddog
Total Reply(0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন