ডিএসসিসি মেয়র তাপসের আশাবাদ
ঢাকা শহরের পানিবদ্ধতার সমস্যা সমাধানের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, এরই মাঝে ঢাকা শহরের ১০টি পুকুর-খাল-জলাশয় নিয়ে একটি প্রকল্প আমরা সাজাচ্ছি। শিগগিরই এই প্রকল্প জমা দেওয়া হবে। আমি বিশ্বাস করি, পর্যায়ক্রমে ঢাকাবাসীকে আমরা অন্যান্য সমস্যার সুরাহা দেওয়ার পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদে পানিবদ্ধতা সমস্যারও সমাধান করতে সমর্থ হবো।
গতকাল সোমবার বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডি লেকে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষে মাছের পোনা অবমুক্তকরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান তিনি। এ সময় ১২০ কেজি রুই, ৬০ কেজি কাতলা, ১০৫ কেজি মৃগেল, ১৫ কেজি কালিবাউসসহ মোট ৩০০ কেজি মাছের পোনা অবমুক্ত করা হয়।
মেয়র তাপস বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকার ৮টি সংসদীয় আসনের কথা বিবেচনা করে আমরা ১১টি জায়গায় পশুর হাট ইজারা দিয়েছি। এ সব হাট সুষ্ঠুভাবে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে গত রোববার ইজারাদারদের নিয়ে সভা হয়েছে। সেখানে ইজারাদারদেরকে আমাদের শর্তাবলী যাতে কঠোরভাবে পালন করা হয়, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাই সে সব শর্তাবলী প্রতিপালন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার থেকে আমরা হাটগুলোতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করবো। কোনও ইজারার শর্ত ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেবো।
যত্রতত্র পশুর হাট বসার সুযোগ রাখা হয়নি জানিয়ে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় আমরা অবৈধ কোনও পশুর হাটের সুযোগ রাখিনি। কঠোরভাবে সেটা নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। মৎস্য অধিদফতরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ডিএসসিসি'র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. শরীফ আহমেদ, প্রধান প্রকৌশলী মো. রেজাউর রহমান, ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম বাবলা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন