বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১, ১৪ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

প্রয়োজন না হলে যাত্রীদের স্থানান্তর না

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩০ জুলাই, ২০২০, ১২:০৪ এএম

খুব বেশি প্রয়োজন না হলে যাত্রীদের স্থানান্তর না হতে আবারও অনুরোধ জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি ভার্চুয়াল পদ্ধতি ব্যবহার করে বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজনদের সাথে যোগাযোগের আহবান জানান। গতকাল বুধবার সচিবালয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ আহবান জানান।

খালিদ মাহমুদ বলেন, করোনা ও বন্যা পরিস্থিতিতেও নৌপথ নিরাপদ এবং স্বস্তিদায়ক করতে সকল প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে সদরঘাটে জীবাণুনাশক টানেল স্থাপন ও যাত্রীদের তাপমাত্রা মাপার ব্যবস্থা করা হয়েছে। লঞ্চের ডেকে যাত্রীদের অবস্থান করার জন্য ‘মার্কিং’-এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তিনি যাত্রীদের লঞ্চের মার্কিং অনুসরণ করার আহবান জানান। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জন্য গর্বের বিষয় পদ্মাসেতু দৃশ্যমান। পদ্মাসেতুর নির্মাণ কাজ শেষ পর্যায়ে। সেতু কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুসরণ করে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ী রুটে ফেরি ও লঞ্চ চলাচল করতে হয়। পদ্মাসেতু নির্মাণের বৃহত্তর স্বার্থে দক্ষিণাঞ্চলবাসিকে উক্ত পথে চলাচলের ক্ষেত্রে সাময়িক অসুবিধা সহ্য করার আহবান জানান। খালিদ মাহমুদ বলেন করোনা পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে না পারলে অর্থনৈতিক ধাক্কা লাগবে। এ পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটাতে জনসচেতনতা প্রয়োজন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে কর্মকর্তাদের আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সাথে অধিনস্থ ১১টি দপ্তর/সংস্থাগুলোর ২০২০-২০২১ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিপত্র (এপিএ) স্বাক্ষরিত হয়। নৌপরিবহন সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ্ উদ্দিন চৌধুরী এবং দপ্তর/সংস্থা প্রধানরা এপিএতে স্বাক্ষর করেন। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ (চবক), মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ (মোবক), পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ (পাবক), বাংলাদেশ স্থল বন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক), নৌপরিবহন অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ), বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্পোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি), বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি), বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি, ন্যাশনাল মেরিটাইম ইনস্টিটিউট (এনএমআই) এবং নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর এর সাথে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিপত্র স্বাক্ষরিত হয়।
সরকার ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত রাষ্ট্রে উন্নীতকরণ ও সুশাসন সংহতকরণের লক্ষ্যে কার্যকর, দক্ষ এবং গতিশীল প্রশাসনিক ব্যবস্থা গড়ে তুলতে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের জন্য সরকারি দপ্তর/সংস্থাগুলোর কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রবর্তনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ৪৮টি মন্ত্রণালয়/বিভাগের সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু হয়।
সচিবালয়ে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন