স্টাফ রিপোর্টার : ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা) কর্তৃক জুমার খুতবা নির্ধারণের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় অ্যাডভোকেট জুলফিকার আলী জুনুর পক্ষে এ রিট আবেদনটি করেন ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান। রিটে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক নির্ধারিত খুতবা অবৈধ ঘোষণার নির্দেশনা চেয়ে রুল জারির আবেদন করা হয়েছে। এ ছাড়া খুতবা প্রদানে ইমামদের ওপর সরকার যাতে কোনো হস্তক্ষেপ না করে, সেই নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। ধর্মসচিব, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ও খুতবা সম্পাদনা পরিষদকে রিটে বিবাদী করা হয়েছে। আজ রিটটি শুনানির জন্য উত্থাপন করবেন বলে জানিয়েছেন আবেদনকারী ওই আইনজীবী। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জুলফিকার আলী জুনু সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধান প্রত্যেকের চিন্তা ও ধর্মপ্রচারের স্বাধীনতা দিয়েছে। কিন্তু ইসলামিক ফাউন্ডেশন খুতবা নির্ধারণ করে দিয়ে সংবিধান লঙ্ঘন করেছে। নাগরিকের অধিকার হরণ করেছে। আগামী সপ্তাহে এ বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। রিটে বলা হয়, ‘সংবিধানের ৪১ (১)(ক) অনুযায়ী, প্রত্যেক নাগরিকের যে কোনো ধর্ম অবলম্বন, পালন বা প্রচারের অধিকার রহিয়াছে। এ ছাড়া সংবিধানের ৩৯ (১) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘চিন্তা ও বিবেকের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দান করা হইল। রিটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের খুতবা নির্ধারণ কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, এই মর্মে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এ অবস্থায় গত ২২ জুলাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন ইমামদের অনুসরণের জন্য একটি খুতবা প্রকাশ করে।
এর আগে গত ২৫ জুলাই ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘নির্ধারণ’ করে দেয়া জুমার নামাজের খুতবা বাতিল করতে মুসলিম উম্মাহর পক্ষে সরকারের প্রতি একটি লিগ্যাল নোটিশ দেন ওই আইনজীবী। নোটিশে উল্লেখ করা হয়, সম্প্রতি কিছু পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পারি জুমার নামাজের নির্দিষ্ট খুতবা ইসলামিক ফাউন্ডেশন নির্ধারণ করে দিয়েছে। সরকারের অনেক মন্ত্রী বলছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের খুতবার বাইরে কোনো ইসলামী বক্তব্য বিশ্লেষণ করলে মসজিদের খতিবদের আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রদান করা হবে। যা ধর্মপ্রাণ মুসলমানের জন্য তথা মসজিদের খতিবদের জন্য অপমানজনক ও সরাসরি ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের শামিল। সে নোটিশের যথাযথ জবাব না পাওয়া এই রিট আবেদন করা হয়।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন