গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ থেকে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি কারাগারে পৌঁছে তদন্ত কার্যক্রম শুরু করেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক (৩৫) কারাগার থেকে পালিয়ে যান। এ ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কারা কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন, ডিআইজি প্রিজন মো. তৌহিদুল ইসলাম এবং মানিকগঞ্জ কারাগারের জেলার বিকাশ রায়হান।
কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর সিনিয়র জেল সুপার জাহানারা বেগম বলেন, লকআপের সময় কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিককে কারাগারে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে কারাগারে অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে আর পাওয়াই যায়নি। এরপর ধারণা করা হয় কয়েদি আবু বক্কর সিদ্দিক কারাগার থেকে পালিয়ে গেছেন। পরে তার বিরুদ্ধে শুক্রবার বিকেলে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার মোহাম্মদ বাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় কারাগারে দায়িত্ব পালনের অবহেলায় ১২ জন কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে সাত কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত এবং পাঁচ কারারক্ষীর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে। এর আগে ২০১৫ সালে কয়েদি আবু বকর সিদ্দিক কারাগারের ভেতর সেপটিক ট্যাংকে লুকিয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু তখন তাকে পাওয়া গেলেও এবার পালিয়েই গেলেন! ২০১২ সাল থেকে তিনি কারাগারে বন্দি ছিলেন। তিনি সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলার চন্ডিপুর এলাকার তেথের আলী গাইনের ছেলে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন