শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

জাতীয় সংবাদ

পাঁচ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদ অধ্যাপক আজাদকে

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মাস্ক-পিপিই কেলেঙ্কারি

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ আগস্ট, ২০২০, ১২:০০ এএম

স্বাস্থ্য অধিদফতরের সদ্য বিদায়ী মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে টানা ৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে ৩টা পর্যন্ত তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।সংস্থার পরিচালক মীর মো.জয়নুল আবেদীন শিবলীর নেতৃত্বে একটি বিশেষ টিম তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। উপ-পরিচালক নূরুল হুদা এবং সহকারী পরিচালক মো.সাইদুজ্জামান ও আতাউর রহমান টিমের অপর তিন সদস্য। করোনাকালে মাস্ক, পিপিইসহ অন্যান্য স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী কেনায় সংঘটিত দুর্নীতির বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাকে। আজ বৃহস্পতিবারও পৃথক একটি অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা রয়েছে। গত ৬ আগস্ট পৃথক নোটিসে তাকে তলব করা হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিএমএসডি-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম,দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসায় নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি কেনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে অন্যান্যদের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে।

এছাড়া স্বাস্থ্যের এই মহাপরিচালকের সহযোগিতায় রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো.সাহেদ ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা, করোনা ভাইরাস সনদ দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ প্রক্রিয়ায় বিপুল অংকের অবৈধ সম্পদ অর্জনেরও অভিযোগেরও অনুসন্ধান চলছে। পরিচালক শেখ মো.ফানাফিল্যাহ রিজেন্ট কানেকশন এবং অবৈধ সম্পদ অর্জনের অংশ অনুসন্ধান করছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক ডা. মো.আমিনুল হাসান, উপ-পরিচালক মো.ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলামকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় গতকাল।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আবুল কালাম আজাদ বলেন, সিএমএসডি কর্তৃক কোভিড সংশ্লিষ্ট ক্রয় বিষয়ে অভিযোগ ওঠায় দুদক অনুসন্ধান চালাচ্ছে। সাবেক মহাপরিচালক হিসেবে আমি এ বিষয়ে কতটা জানি সেটিই দুদক শুনতে চেয়েছেন। তারা যা জানতে চেয়েছেন আমি এর বিস্তারিত জবাব দিয়েছি। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নিজেকে কঠোর পরিশ্রমী,নিষ্ঠাবান,সৎ,দক্ষ ও মেধাবী কর্মকর্তা হিসেবে দাবি করেন অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ। তিনি বলেন,সারা জীবন নিষ্ঠা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। কেউ অপরাধ করলে কঠোর শাস্তি হোক আমি তা চাই। প্রকৃত সত্য উদঘাটনে দুদককে সব ধরণের সহযোগিতা করবো।

 

Thank you for your decesion. Show Result
সর্বমোট মন্তব্য (0)

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন