ইউনেস্কো মহাপরিচালক মিজ অদ্রি আজুলে বলেছেন, জনগণের অধিকার ও মুক্তি প্রশ্নে বিশ্বে বঙ্গবন্ধুর অবদান অসামান্য। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে ইউনেস্কো মহাপরিচালক এক বাণীতে একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু ও ১৫ আগস্ট নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাও জানান তিনি।
মিজ অদ্রি আজুলে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সাড়ে চার দশক পর আজও বিশ্ব তার সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ স্মরণ করে। তিনি বলেন, আমাদের সংস্থা অন্তর্ভূক্তিমূলক, ন্যায়সঙ্গত ও গণতান্ত্রিক সমাজের আকাঙ্খার কথা বলে- যে আকাঙ্খা বঙ্গবন্ধু ব্যক্ত করেছিলেন ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চে তার ঐতিহাসিক ভাষণে। যা এখন ইউনেস্কো মেমোরি অব ওয়ার্ল্ড ইন্টারন্যাশনাল রেজিস্টারে অন্তর্ভূক্ত। আজুলে বলেন, এ বছর ইউনেস্কো সারা বিশ্বের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন করছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকীতে তাঁর এবং তাঁর পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই। তাঁর মৃত্যুর সাড়ে চার দশক পর আজও তাঁর দেশের জনগণের অধিকার ও মুক্তির প্রশ্নে বিশ্ব তাঁর অসামান্য অবদান, সংগ্রাম ও আত্মত্যাগ স্মরণ করে।
এ বছর ইউনেসকো সারা বিশ্বের সাথে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করছে। একটি ন্যায্যতর বিশ্বে সকল বৈচিত্রের নৃগোষ্ঠী, সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্মের জনগণের সম্মান প্রতিষ্ঠায় তাঁর স্বপ্ন পূরণে আমাদের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করার এটা এক অনন্য সুযোগ।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কল্যাণকর ভবিষ্যতের জন্য রাষ্ট্রসমূহের ঐক্যবদ্ধ শক্তিতে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করতেন। তাঁর এই বিশ্বাস তিনি ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে পুনর্ব্যক্ত করে বলেছিলেন, জনগণের শক্তিতে অদম্য আত্মবিশ্বাস নিয়ে যেকোন অসাধ্য সাধন ও দুরূহ বাধা অতিক্রম করা সম্ভব। বিদ্যমান সঙ্কট ও চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় তাঁর এই বিশ্বাসে অংশীদার হয়ে আমাদের কাজ করে যাওয়া প্রয়োজন।
কোভিড-১৯ মহামারী ও এর প্রভাব যখন সমাজের ভিত্তি এবং কয়েক দশকে ইউনেসকোর অর্জনসমূহ ক্ষতির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে তখন আমাদের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে জাতীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে আমরা দ্বিগুন কর্মপ্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
এটা নিশ্চিত বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আগামী প্রজন্মের জন্য বিপুল উৎসাহ যোগাবে এবং বিশ্বকে নতুনভাবে সাজানোর কাজে সহায়তা করবে।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন