রাশিয়ায় তৈরি হওয়া করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনকে অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো। তারা এই ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ উৎপাদন করবে বলে জানিয়েছে। যাবতীয় সন্দেহ কাটাতে সবার প্রথমে এই ভ্যাকসিন স্বেচ্ছায় গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে ম্যানুয়েল লোপেজ ওবরাডোর।
রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিনের দু’ মাসেরও কম সময়ের মানব ট্রায়াল নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নানা দেশের বিশেষজ্ঞরা। এই ভ্যাকসিনের আসলেই কতোটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন তারা। অনেকেই কটাক্ষ করে বলেছেন, সুরক্ষার থেকে প্রেস্টিজকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে ভ্লাদিমির পুতিনের দেশ। তাদের দাবি, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের মাত্র ১০ শতাংশই সফল হয়েছে এখনও পর্যন্ত। তবে সকল বিতর্ক উপেক্ষা করেই রাশিয়ার ভ্যাকসিনকেই অনুমোদন দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেক্সিকো। তারা এই ভ্যাকসিনের প্রথম ব্যাচ উৎপাদনও করবে বলে ঘোষণা করেছে।
যাবতীয় সন্দেহ কাটাতে নিজের শরীরেই প্রথম এই ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট। সোমবার নিয়মিত সাংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমিই প্রথম এই ভ্যাকসিন নেব।’ এই ভ্যাকসিন তৈরি করতে আস্ট্রাজেনেকা পিএলসি ওষুধ কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে মেক্সিকো ও আর্জেন্টিনা।
এ বিষয়ে মেক্সিকোর ডেপুটি ফরেন মিনিস্টার মারঠা ডেলগাডো জানিয়েছেন, ‘দেশের জন্য এই মুহূর্তে ২০০ মিলিয়ন পর্যন্ত ডোজ প্রয়োজন। তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল সফল হলে, আগামী বছর এপ্রিলেই প্রথম ব্যাচের ভ্যাকসিন বাজারে আসবে।’
গত ১১ অগস্ট রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঘোষণা করেন, তার দেশে কোভিড ১৯-এর ভ্যাকসিনকরণের অনুমতি দেয়া হয়েছে। সরকারি একটি বৈঠকে অংশ নিয়ে পুতিন জানান, ‘নানা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে নিজের যোগ্যতা অর্জন করেছে ওই ভ্যাকসিন। করোনাভাইরাস প্রতিরোধের ক্ষমতা রয়েছে এই ভ্যাকসিনের।’ ভ্যাকসিন ব্যবহারের আগে যাবতীয় সব পরীক্ষা করা হয়েছে বলে আশ্বস্ত করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট। তিনি জানান, তার দুই কন্যার মধ্যে একজনকে সেই ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে এবং সে সুস্থ আছে। সূত্র: রয়টার্স।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন