রাশিয়ার তৈরি ‘স্পুটনিক ভি’ করোনা ভ্যাকসিনের প্রতি আগ্রহ প্রকাশ করলেও এ বিষয়ে এই প্রথম দেশটির সাথে যোগাযোগ করেছে ভারত। ভ্যাকসিনটির প্রথম ব্যাচ উৎপাদন সম্পন্ন হতেই রাশিয়ার মেডিকেল রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে মস্কোয় অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস। ভারত সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা এই তথ্য জানিয়েছেন।
মস্কোর গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট অফ এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি আবিষ্কৃত ‘স্পুটনিক ভি’ জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ করতে গত সপ্তাহেই অনুমোদন দিয়ে দিয়েছে ভ্লাদিমির পুতিন সরকার। সূত্রের খবর, ‘ভারতও ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে নিজেদের মতো প্রস্তুতি নিয়ে চলেছে। তবে মস্কোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ করেছে এই বিষয়ে। আমরা অপেক্ষা করছি এই ভ্যাকসিনের সুরক্ষা এবং কার্যকারীতার বিষয়টি নিয়ে।’
প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের আগেই এই ভ্যাকসিন জনসাধারণের জন্য উপলব্ধ করাতে ‘স্পুটনিক ভি’র কার্যকারীতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিশ্বের করোনা গবেষকদের একাংশ। যদিও সকলকেই আশ্বস্ত করে পুতিন জানিয়েছেন এই ভ্যাকসিন যথেষ্ট কার্যকর এবং সঠিকভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গরতেও সক্ষম।
জানা গিয়েছে, অগাস্টের ১২ তারিখ থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল স্পুটনিক ভি-এর তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালের। রাশিয়ার প্রায় ২ হাজার জনের দেহে এই পরীক্ষা চালান হবে। এছাড়াও সংযুক্ত আরব-আমিরাত এবং ব্রাজিল-মেক্সিকোতে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শুরু হওয়ার কথা। প্রথম এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে কতটা সফল হয়েছে এই ভ্যাকসিন তার একটি রিপোর্টও প্রকাশ করবে গামালেয়া রিসার্চ সেন্টার।
এদিকে রাশিয়ার শিল্প এবং ব্যবসা মন্ত্রী ডেনিস মান্তুরোভ একটি সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘প্রতি মাসে কয়েক হাজার হাজার ডোজ তৈরি হবে। ২০২১ এর মধ্যে তা কয়েক লাখে পৌঁছে যাবে। ব্রাজিল, ভারত এবং আরও অনেক দেশ এই ভ্যাকসিন নেয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে।’ সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
মোবাইল অ্যাপস ডাউনলোড করুন
মন্তব্য করুন